দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সম্পর্কে টানাপোড়েন। নিত্য অশান্তি। লিভ-ইন পার্টনারকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘর থেকে উদ্ধার যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও সে নিজেই আত্মসমপর্ণ করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
[প্রকাশ্যে ব্যাংককর্মীকে গুলি করে খুন, আতঙ্ক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে]
মৃতের নাম মঞ্জু হালদার। সুভাষগ্রামের ধানমাঠ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে সন্ন্যাসী দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে থাকতেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সন্ন্যাসী ও মঞ্জু স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। লিভ ইন করতেন তাঁরা। যদিও দম্পতি পরিচয়েই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ওই যুবক ও যুবতী। বুধবার রাতে দু’জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মঞ্জুকে কোপাতে শুরু করে সন্ন্যাসী। তাঁর চিৎকারে্ ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীকে নিয়ে যাওয়া হয় সুভাষগ্রাম হাসপাতালে। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সুভাষগ্রামের ধানমাঠ এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সোনারপুর থানার পুলিশ। খুনের অভিযোগে সন্ন্যাসী দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, মঞ্জুকে খুন করার পর সে নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু, সন্ন্যাসী ও মঞ্জু কী সত্যিই লিভ-ইন করতেন নাকি তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন? মঞ্জুকে খুনই বা হতে হল কেন? খতিয়ে দেখছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
[ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লক্ষাধিক টাকা, ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার ২ যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.