সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার বিকেল বলে কথা। সহকর্মীদের সঙ্গে বিকেলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সোজা অফিস। অফিসে ফিরে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়। তারপর অফিসের ১২ তলা থেকে মরণঝাঁপ। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের তথ্যপ্রযু্ক্তি কর্মীর মৃত্যু প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে খুন কিংবা নিছক দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও এখনই উড়িয়ে দিতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
নিহত বছর পঁচিশের ওই তরুণীর নাম ঐশ্বর্য শর্মা। সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। আদতে অসমের শিলচরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে রাজারহাটে থাকতেন তিনি। সঙ্গে থাকতেন তাঁর পরিবারের লোকজনও। ঐশ্বর্যর সহকর্মীদের দাবি, আচমকা কিছু খুব উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার শব্দ পান তাঁরা। ততক্ষণে অফিসজুড়ে রটে যায় কেউ ঝাঁপ দিয়েছেন। দৌড়ে নিচে নামেন ওই সংস্থার প্রায় সকলেই। দেখেন নিচে পড়ে রয়েছেন ঐশ্বর্য। চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় ঐশ্বর্যকে। নিয়ে যাওয়া স্থানীয় হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঐশ্বর্যর সহকর্মীদের একাংশের দাবি, শুক্রবার বিকেলে সিনেমাও দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে আচরণে সন্দেহজনক কিছুই ধরা পড়েনি। তা সত্ত্বেও আচমকা কেন অফিসের ১২ তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ঐশ্বর্য, তার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিকভাবে মোটেও সুস্থ ছিলেন না তরুণী। সে কারণে আচমকা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
আবার ঐশ্বর্যর কোনও কোনও সহকর্মীর দাবি, শুক্রবার অফিসে কিছু সমস্যা হয়। তা নিয়ে ঝগড়াঝাটিও হয় কারও কারও সঙ্গে। অফিসে অশান্তির জেরে ১২ তলা থেকে ঐশ্বর্য ঝাঁপ দিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তরুণীর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা ছিল কিনা, সে সম্পর্কে তথ্যের খোঁজে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.