কলহার মুখোপাধ্যায়: দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেলেন এক মহিলা। রাতভর খোঁজ মেলেনি তাঁদের। পরে বুধবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। তাঁর দুই সন্তানেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মহিলা এবং সন্তানদের সংস্পর্শে আসায় তাঁর পরিবারের আরও ৬ জনকেও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার দ্বিতীয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হয়েছে নিউটাউনের এনবিসিসি বিল্ডিংয়ে। সেখানেই ছিলেন ওই মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তান। তবে মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন তাঁরা নেই। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তাঁরা মনে করছেন রাত ১টা থেকে ১.৩০টার মধ্যে শিশুদের নিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে ভাবেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই হয়তো কোথাও রয়েছেন মহিলা। সেই অনুযায়ী এনবিসিসি বিল্ডিংয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায়নি তাঁদের।
তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ইকোস্পেস থানায় একথা জানানো হয়। পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলা নারকেলডাঙার বাসিন্দা। সেই অনুযায়ী এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নেন। বুধবার সকালে সেখান থেকেই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। মহিলার দাবি, সন্তানদের বায়নায় বিরক্ত হয়ে গিয়েই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইতিমধ্যে মহিলার পরিবারের কমপক্ষে ৬ জন সদস্য তাঁর এবং শিশুদের সংস্পর্শে আসে। তাই মহিলা, তাঁর ২ সন্তানের পাশাপাশি পরিবারের আরও ছজনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে ওই মহিলা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেলেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। তাহলে কি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পুলিশি প্রহরার কোনও বন্দোবস্ত নেই, এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে। এছাড়াও নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে গভীর রাতে বেরনোর পর কীভাবে ওই মহিলা লকডাউনের মধ্যেও সন্তানদের নিয়ে নারকেলডাঙার বাড়িতে পৌঁছলেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের গুরুত্ব না বুঝে সেখানে থাকা ব্যক্তি কিংবা মহিলা সকলের সংস্পর্শে চলে আসলে, রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। তাই এই ঘটনার পর নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পুলিশি নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.