ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: অবশেষে আনন্দপুরের শিশুমৃত্যুর রহস্যভেদ করল পুলিশ। প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, অভাবের তাড়নায় মা-ই খুন করেছিল ৩ দিন বয়সের ওই শিশু কন্যাটিকে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ওই শিশুখুনের পিছনে কোনও বাচ্চা রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে পরে ডাক্তার বলেন, কোনও বাচ্চার পক্ষে এত জোর দেওয়া সম্ভব নয় যাতে মৃত্যু ঘটতে পারে। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে তদন্তকারীদের মনে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় একরত্তির বাবাকে। জানা যায়, ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলেন না তিনি। এরপর রবিবার আনন্দপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয় মৃত খুদের মা, সোনিয়া বাড়ুইকে। টানা ১২ ঘ্ণ্টা জেরায় ভেঙে পড়ে সে। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ওই বধূ। জানিয়েছে, তার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সংসারে টাকা দিতেন না তিনি। সোনিয়া ভেবেছিল, মেয়ে হওয়ার পর হয়তো স্বামীর আচরণের পরিবর্তন হবে। কিন্তু নাহ, তেমন কিছুই হয়নি। এমনকী সন্তানের তিন দিন বয়স হয়ে গেলেও মেয়ের কোনও খোঁজই নেননি তিনি। সেই কারণেই খুদেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই বধূ।
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। আনন্দপুরের নোনাডাঙায় বাড়িটি ওই খুদের সঙ্গে ছিল তার মা ও দাদা। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে খুদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁরাই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সেই রিপোর্ট এলে জানা গিয়েছিল যে, খুদের শরীরে ছোট ছোট আচড় রয়েছে। তাতে অনুমান করা হয়েছিল, তার দেড় বছরের দাদাই খেলতে খেলতে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। পরে ডাক্তারের তথ্যের ভিত্তিতে নয়া মোড নেয় ঘটনা। মাকে চেপে ধরতেই প্রকাশ্যে এল গোটা বিষয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.