ছবি প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পঞ্চসায়র গণধর্ষণ কাণ্ডে মানসিক বিপর্যস্ত যুবতীর উপর প্রথমে যৌন নির্যাতন চালায় ১৭ বছর বয়সের এক নাবালক। মদ্যপ ওই নাবালক অত্যাচার চালানোর পর ফের যুবতীকে ধর্ষণ করে সাদা ট্যাক্সির চালক উত্তম রাম। বুধবার রাতে নরেন্দ্রপুরের কাঠিপোঁতা অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ পেশায় গাড়ির চালক ওই নাবালককে আটক করে। উত্তম ও নাবালক স্বীকার করেছে যে, তারা দু’জন মিলেই যৌন নির্যাতন চালিয়েছে ওই যুবতীর উপর। এদিকে, আদালতে যুবতীর গোপন জবানবন্দির জন্য বৃহস্পতিবার পুলিশ আবেদন জানাচ্ছে। তার জন্য একজন ‘স্পেশাল এডুকেটর’-এর সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর পঞ্চসায়রের হোম থেকে পালিয়ে উঠেছিলেন উত্তম রামের ট্যাক্সিতে। যখন উত্তম দেখে যে, যুবতী তাঁর হোম খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন সে তাঁর উপর নির্যাতনের ছক কষে। সেই কারণেই সে ঘুরে নিজের এলাকায় নিয়ে যায় যুবতীকে। কাঠিপোঁতায় এসে প্রতিবেশী ওই নাবালককে নিজের গাড়িতে তোলে। দু’জন মিলে যুবতীকে নিয়ে একটি সেতু পেরিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। গাড়ির কাচ তুলে বাতানুকূল যন্ত্র চালিয়ে দেয় তারা, যাতে যুবতীর চিৎকার বাইরে না যায়। গাড়ির ভিতরেই প্রথমে ওই নাবালক ও তার পর উত্তম তাঁকে ধর্ষণ করে। এই নির্যাতনের পর যুবতীকে গাড়ির বাইরে ঠেলে ফেলে দেয় দু’জন। তিনি আহত হন। গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় দু’জন। প্রথম থেকেই যুবতী বলেছিলেন যে, গাড়ির ভিতর দু’জন তাঁকে গণধর্ষণ করেছে। সেই দাবির উপর ভিত্তি করেই তদন্ত করে দু’জনকে ধরা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১১ নভেম্বর রাত তিনটে নাগাদ হোমের তালা ভেঙে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় জোরপূর্বক দুই যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন অর্থাৎ ১২ তারিখ সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাঁকে ফেলে যায় অভিযুক্তরা। এরপর কোনওক্রমে এক পথচারীর সহযোগিতায় মাসির বাড়ি পৌঁছন ওই মহিলা। নির্যাতিতা জানান, হোমের সামনে থেকে তাঁকে নিয়ে একটি ফাঁকা মাঠে পৌঁছয় ওই দুই যুবক। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। এরপর গাড়িতে তুলে ফের চলে নারকীয় অত্যাচার। পরেরদিন সকালে রাস্তায় ফেলে যাওয়া হয় মহিলাকে। পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। যে ট্যাক্সিতে তুলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়, সেটিকে আটক করে পুলিশ। ট্যাক্সিচালককেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে এক নাবালকের খোঁজ পায় পুলিশ। তাকেও বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.