ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে। ২-৩ মাসের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে কলকাতার বড়তলা থানার (Burtolla Police Station) পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নির্যাতিতার সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবা বছর দশেক আগে স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকে কিশোরীর মা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জয় পাত্র নামে বড়তলার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। সেই সময় নির্যাতিতা মাত্র দু’বছর বয়সি ছিল। কিশোরীর মায়ের দাবি, সঞ্জয় মেয়ের সঙ্গে আগে কখনই অশালীন ব্যবহার করেনি। তবে দু-তিন মাস আগে ওই মহিলা খেয়াল করেন তাঁর কিশোরী মেয়ের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মনে মনে কেমন যেন সন্দেহ হয় তাঁর। চিকিৎসকের কাছে যান। হয় পরীক্ষাও। শনিবার সকালে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তিনি জানতে পারেন কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এরপর মেয়েকে বকাঝকা করতে শুরু করেন। তিনি জানতে পারেন মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পিছনে রয়েছে তার সৎ বাবার বিকৃত যৌন লালসা। মাকে খুনের হুমকি দিয়ে প্রতিদিনই কিশোরী মেয়েকে সৎ বাবা ধর্ষণ করত বলেই অভিযোগ।
সঞ্জয়ের কুকীর্তির কথা প্রতিবেশীদেরও জানান কিশোরীর মা। একথা শুনেই রেগে যান প্রতিবেশীরা। বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনা হয় সঞ্জয়কে। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টে বাঁধা হয় তাকে। বেধড়ক মারধর করেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, “আমাদেরও সঞ্জয় এবং তার কিশোরী মেয়েকে দেখে সন্দেহ হচ্ছিল। কিশোরীর মা এমন কুকীর্তির কথা বলার পরই নিশ্চিত হলাম। তারপরই সঞ্জয়কে নিজেরাই শাস্তি দেব বলে ভাবি আমরা।” এদিকে, মারধরের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়তলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। সঞ্জয়কে মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অভিযুক্তের চরমতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.