Advertisement
Advertisement
Scientist online fraud

অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পা, নিমেষে বিজ্ঞানীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা

বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা বিজ্ঞানী।

A scientist trapped in online fraud in Kestapur ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 14, 2021 2:10 pm
  • Updated:January 14, 2021 3:23 pm  

সুলয়া সিংহ: শহরে ফের অনলাইন প্রতারণার (Online Fraud) ফাঁদে পা মহিলার। সাহা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ওই মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকা। বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

শম্পা বিশ্বাস নামে ওই মহিলা কেষ্টপুরের প্রফুল্লকানন এলাকার বাসিন্দা। সাহা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী তিনি। গত বুধবার এয়ারটেল (Airtel) থেকে তাঁর নম্বরে একটি মেসেজ আসে। KYC আপডেট করার কথা ওই মেসেজে উল্লেখ ছিল। পরে একটি ফোন আসে। কেওয়াইসি আপডেট না করলে তাঁর নম্বরটি ডিঅ্যাকটিভেট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়। পরে করে নেবেন বলে প্রথমে জানান তিনি। তবে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে খুব বেশি সময় লাগবে না বলেই জানানো হয়।

Advertisement

Screenshot

[আরও পড়ুন: ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই’, বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্‌তিবাসীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী]

সহজেই প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে কেওয়াইসি আপডেট করার কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী টিম ভিউয়ার (Team Viewer) নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেন শম্পা। ওই অ্যাপ যিনি ডাউনলোড করবেন অনায়াসেই তাঁর স্মার্টফোনের দখল নিতে পারেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি। শম্পার ক্ষেত্রে ঘটে তেমনই। 

Team viewer

এবার ১০টাকা দিতে বলা হয়। কম্পিউটার থেকে এয়ারটেলের নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওই টাকা দেন শম্পা। কিন্তু ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় মোবাইল থেকেই করতে হবে। বাধ্য হয়ে তাঁর স্টেট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ টাকা জমা দেন। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। এবার ডেবিট কার্ড থেকে ১০ টাকা দিতে বলা হয়। অ্যাক্সিস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দেওয়ামাত্রই দু’দফায় মোট ৭২ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রথমবার ৫০ হাজার এবং পরেরবার ২২ হাজার টাকা খোয়া যায় তাঁর।

টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ আসতেই হতচকিত হয়ে যান শম্পা। ফোন করে সেকথা জানান তিনি। কোনও যান্ত্রিক গোলযোগে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয় শম্পাকে। তবে ওই টাকা পাঁচ মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও টাকা ফেরত পাননি শম্পা। পরিবর্তে ওই নম্বরটিও সুইচড অফ। তাই তিনি আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শম্পা। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ায় হতাশ সাহা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের ভোট ঘোষণা ফেব্রুয়ারিতেই, এপ্রিলে শেষ প্রক্রিয়া! ইঙ্গিত উপ-নির্বাচন কমিশনারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement