গোবিন্দ রায়: অভিযুক্ত সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হতেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের আর্জি হাই কোর্টে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। উপরন্তু তদন্তের অগ্রগতি কী, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল আদালত। আগামী ৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই পুলিশকে তদন্তের সাপেক্ষে রিপোর্ট দিতে হবে।
লোকসভা ভোটের আগে একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল মথুরাপুরের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান ও তাঁর স্বামী বাপি হালদারের বিরুদ্ধে। মামলা করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা অনুপকুমার মিস্ত্রি। লোকসভা ভোটে জিতে অভিযুক্ত বাপি হালদার এখন তৃণমূলের সাংসদ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানান মামলাকারী বিজেপি নেতা। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয়ের মতো অভিযোগ রয়েছে। তাই মামলাকারী সরে গেলেও আদালত মনে করলে স্বতঃপ্রণোদিত এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আদালতের আরও মত, মামলাকারী হয়তো প্রভাবশালীর পক্ষে যেতে পারেন, বা তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আদালত তো মানুষের ক্ষতি দেখে চুপ করে থাকতে পারে না।
ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরেও অভিযোগ দায়ের করতে দেরি করায় মথুরাপুর ওসিকে শোকজ করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে আদালতে জানায় রাজ্য। গত ৭ মার্চ অভিযোগ হয়। ১ মাস ১০ দিন পর এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর হয়। দেরি হয়েছে তা মেনে নিয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে সমস্যা হবে না বলে জানায় রাজ্য। তবে পুলিশের এই রিপোর্ট দেখে বিরক্ত আদালত। বিচারপতি সিনহার মন্তব্য, “পুলিশ এখনও করেছে সেটা দেখা দরকার।” এদিন বাপি হালদারের আইনজীবী এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত জানায়, অভিযুক্তের বক্তব্য রেকর্ড করলেও তাকে মামলায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যায় না। আদালতের বক্তব্য, তাঁর যা বলার পুলিশের কাছে বলুক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.