কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: লকডাউনের রাস্তায় এমনিতেই যানবাহন কম। তা সত্ত্বেও ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে পণ্যবাহী গাড়ি এগোতে গিয়ে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিউটাউনের অ্যাক্সিস মলের কাছে সিগন্যালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়িতে পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল রোগীর। আহত গাড়িচালক-সহ আরও চারজন। যার মধ্যে ওই গাড়ির চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলে ভরতি বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। পরে রাকিন মণ্ডল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
তখন সকাল ছ’টা পেরিয়ে কিছুটা এগিয়েছে ঘড়ির কাঁটা। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে এসএসকেএমের পথে আসছিল একটি গাড়ি। মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। তাই বাধ্য হয়েই চার চাকার একটি প্রাইভেট গাড়ি করে এসএসকেএমে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন জঙ্গলপুরের বছর পঁয়তাল্লিশের বাসিন্দা জালালুর রহমান। কিন্তু মাঝপথে দুর্ঘটনাতেই যে প্রাণ হারাবেন, চিকিৎসার সুযোগই পাবেন না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তেমনটাই।
নিউটাউনের অ্যাক্সিস মলের কাছে গাড়ি আসতেই দুর্ঘটনা। সিগন্যাল অমান্য করে একটি পণ্যবাহী ট্রাক দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়েই,উলটোদিক থেকে আসা রোগীর গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারল। গাড়ির চালক, রোগী এবং গাড়িতে থাকা আরও চারজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা রোগী জালালুর রহমানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যু হল জালালুর রহমানের আত্মীয় রাকিন মণ্ডলের। গাড়ি চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা চিকিৎসাধীন এই হাসপাতালে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরই পলাতক পণ্যবাহী গাড়িটির চালক। গাড়ির নম্বর প্লেট ধরে নিউটাউন থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। লকডাউনের সময় এখন রাস্তা মোটের উপর ফাঁকা, যানবাহন বিশেষ নেই। শুধুমাত্র রোগীদের আনানেওয়ার জন্য এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণে ছাড়। তা সত্ত্বেও কেন পণ্যবাহী ট্রাকটি সিগন্যাল না মেনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল? যার জেরে এমন দুর্ঘটনা ঘটে গেল। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমেছেন তদন্তকারীরা। ওই এলাকায় ট্রাফিকের দিকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.