সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিছক দুর্ঘটনা নয়, অভাবের হাত থেকে মুক্তি পেতে আত্মঘাতী হয়েছেন পর্ণশ্রীর (Parnasree) মা ও মেয়ে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া ফাঁকা কেরোসিনের বোতলের সূত্র ধরেই রহস্যের জট খোলার চেষ্টা চলছে। কথা বলা হচ্ছে মৃতদের পরিজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। এদিন দুপুরে আচমকা দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বেহালার (Behala)পর্ণশ্রী থানার অন্তর্গত দ্বিজেন মুখার্জি রোড এলাকার এক দোতলা বাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়া সোমা মাইতি ও তাঁর মেয়ে কাকলির। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন নিচের তলায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরাও। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। আধ ঘণ্টায় চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছিলেন শটসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।
কিন্তু তদন্তের শুরুতেই প্রকাশ্যে এসেছে এমন কিছু তথ্য, যা ঘটনার মোড় ঘুরিয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু সামগ্রী বলছে যে, গতকালের অগ্নিকাণ্ড নিছক দুর্ঘটনা নয়। কিন্তু কী সেই তথ্য? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে সোমাদেবীর ছেলের। তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। ছেলের মৃত্যুর পর মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন সোমাদেবী ও কাকলি। সেই সঙ্গে ছিল চরম অর্থাভাব। তা থেকে নিস্তার পেতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে ঘরে সোমাদেবী ও কাকলির দেহ পাওয়া গিয়েছে সেটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ঘরে মিলেছে একটি ফাঁকা কেরোসিনের বোতল। এতেই মনে করা হচ্ছে যে, পরিকল্পনামাফিক কেরোসিন ঢেলে ঘরে আগুন ধরিয়েছিলেন মৃতারা। তবে সত্যিই কী আত্মঘাতীই হয়েছেন ওই মা-মেয়ে? সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.