ছবি: প্রতীকী
কলহার মুখোপাধ্যায়: রাগের বশে বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে মেরে খুনের পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করল নাবালক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট থানা এলাকার নবাবপুরের মুন্সি পাড়াতে। ইতিমধ্যেই ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
ঠিক যেন ‘ভিঞ্চি দা’ সিনেমার বাস্তব রূপায়ণ। ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় সাড়ে তিনটে। আচমকা রাজারহাট থানায় ঢুকে ওই নাবালক জানায়, বাবাকে খুন করেছে সে। তার স্বীকারোক্তিতে স্তম্ভিত হয়ে যান থানায় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে কার্যত কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি তাঁরা। কিন্তু নাবালকের গায়ে নজর পড়তেই যেন ছবিটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করে। কারণ, তার হাত ভরতি রক্ত। জামায় রক্তের ছাপ। এরপরই ওই নাবালককে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছয় রাজারহাট থানার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা দেখেন বাড়ির বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন এক ব্যক্তি। তাঁর নাম নুরুল আলি তরফদার। পুলিশ তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের পাশ থেকে মেলে একটি রক্তমাথা কুড়ুল ও বড় পাথর।
কিন্তু কেন এই নৃশংস হত্যালীলা? ঘটনার পিছনের গল্পটা সিনেমার মতোই। অভিযোগ, দিনের পর দিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী এবং সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন নুরুল। চলত মারধর। শনিবার রাতেও ফের স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করতে শুরু করে ওই ব্যক্তি। সেই সময়ই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে নুরুলের ছোট ছেলের। ক্ষোভের বশে বাবাকে খুন করে সে। এরপরই হাজির হয় থানায়। অভিযুক্ত নাবালককে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.