অর্ণব আইচ: ছোটবেলায় পেয়েছিলেন। বড় হতেই তা হাতছাড়া। কিন্তু সেটি কী? প্রশ্ন করতেই জবাব “আমার নোবেল গিয়েছে হারিয়ে।” কোথায় রয়েছে তা? উত্তর কোনও এক নোবেলজয়ীর কাছে রয়ে গিয়েছে সেটি। বারবার নাকি সরকারের কাছে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু নোবেল হাতে আর ফেরেনি। তাই মনের দুঃখে হাওড়া ব্রিজের চার নম্বর পিলারে চড়ে বসলেন মহিলা। হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) পিলারে চড়ে বসা মহিলাকে নিয়ে চূড়ান্ত নাকাল হতে হল পুলিশকে।
একে রবিবার। তার উপর চলছে আনলক ওয়ান। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ছিল বৃষ্টি। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় কম হাওড়া ব্রিজে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রবিবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ ব্রিজের চার নম্বর পিলারে চড়েন এক মানসিক ভারসাম্য মহিলা। উঠেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। মহিলা বলতে থাকেন, “ছোটবেলায় নোবেল পেয়েছিলাম। বড় হতেই তা আর নেই। কোনও এক নোবেলজয়ীর কাছে রয়ে গিয়েছে। বারবার সরকারকে চিঠি লিখেও কোনও লাভ হচ্ছে না।” চিৎকারের ফলে পুলিশের নজরে আসেন ওই মহিলা। আচমকা এমন কথা শুনে হতচকিত হয়ে যান পুলিশকর্মীরা।
এদিকে, আবার মহিলা নিচে পড়ে গেলে যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বিপদ। তাই তাঁকে নিরাপদে নিচে নামিয়ে আনাই তখন পুলিশের একমাত্র লক্ষ্য। তবে মহিলা প্রথমে কিছুতেই নিচে নেমে আসতে রাজি ছিলেন না। অনেকক্ষণ বোঝানো হয় তাঁকে। পরে পুলিশ তাঁকে আশ্বাস দেয়, “নিচে নেমে আসুন, নোবেল খুঁজে এনে দেওয়া হবে।” তাতেই অবশ্য কাজ দেয়। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর নোবেল খুঁজে দেওয়ার আশ্বাসে হাওড়া ব্রিজের চার নম্বর পিলার থেকে নিচে নেমে আসেন ওই মহিলা।
নিচে নেমে আসার পর পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতেই জানা যায় ব্রিজে উঠে পড়া বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা। ওই মহিলার দেওয়া পরিচয়ের কোনও সত্যতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায়ছো ওই মহিলা এমন কাজ করেছেন বলেই প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.