ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: টালিগঞ্জ পুলিশ আবাসনের বাইরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বছর ছেচল্লিশের বাপি দে। বাড়ি চারু মার্কেট থানা এলাকায়। তবে কী কারণে তিনি টালিগঞ্জ পুলিশ আবাসনের সামনে গেলেন, তা নিয়ে চরম ধন্দে পুলিশ নিজেই।
বৃহস্পতিবার রাতেই টালিগঞ্জ পুলিশ আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের সামনে এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন আবাসনের বাসিন্দারাই। তাঁরাই খবর দেন যাদবপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে, বাপি দে নামে ওই বাসিন্দার বাড়ি চারু মার্কেট এলাকায়। বছর ছেচল্লিশের বাপি সেখানেই একটি মদের দোকানে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, তিনি আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। আবার তাঁকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুন করেছে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
তবে একটি বিষয় পুলিশকে বেশ ধন্দে ফেলেছে। টালিগঞ্জ এলাকায় বাপির কোনও পরিচিত ছিল না। ওই জায়গা তিনি চিনতেন না বলেই জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ কেন তিনি টালিগঞ্জের একেবারে পুলিশ আবাসনে গিয়ে হাজির হলেন, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কেউ কি তাঁকে ওখানে ডেকে নিয়ে গেল? কেনই বা তিনি ছাদে উঠে গেলেন, তাও ঠিক বুঝতে পারছেন না তাঁরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর এখন নির্ভর করতে হচ্ছে। তা হাতে পেলেই বোঝা যাবে, ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বাপি দে-র। তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। বাপির মৃত্যুতে তাঁর বাড়িতে শোকের ছায়া। পরিবারের সদস্যরাও বুঝতে পারছেন না, কীভাবে বাড়ির ছেলের মৃত্যু হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.