সুব্রত বিশ্বাস ও অরিজিৎ গুপ্ত: হাওড়া স্টেশনে দাঁড়ানো ট্রেনের ইঞ্জিনের মাথায় উঠে পড়েন এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে জ্বলতে থাকেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাওড়া স্টেশনে আগেও একাধিকবার একই কাণ্ড ঘটেছে। ঘটনায় আরপিএফের দায়িত্ব ও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের মাথায় দাউদাউ করে জ্বলছেন এক যুবক। আগুন নেভানোর চেষ্টায় কর্মীরা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ১৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের মাথায় উঠে পড়েন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। এরপরই ২৫ হাজার ভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে জ্বলতে থাকেন যুবক। অর্ধদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার দুপুরে হাওড়া আরপিএফ ও জিআরপি দুই পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছে যুবকের মৃত্যু হয়নি। তিনি দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, যুবক ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা। এদিকে ট্রেনে তল্লাশির সময় একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পেয়েছে পুলিশ। সেই ব্যাগটি যুবকের কি না খতিয়ে দেখছেন তদন্তাকারীরা।
এই ঘটনার পর হাওড়া স্টেশনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক যুবক ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠে গেলেও কারও চোখে পড়ল না কেন? প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা। এই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার এইরকম কাণ্ড ঘটেছে হাওড়া স্টেশনে। বারবার কেন এই ঘটনা ঘটেছে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা। এই ঘটনা প্রমাণ করল বারবার একই ঘটনা ঘটলেও টনক নড়েনি আধিকারিকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.