অর্ণব আইচ: দিদির সঙ্গে জামাইবাবুর গোলমাল ঘিরে পারিবারিক অশান্তি। তারই জেরে জামাইবাবুর দোকানে এসে নৃশংসভাবে তাঁকে কুপিয়ে খুন করল শ্যালক। বুধবার বিকেলে একবালপুর ঘটেছে এই ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খুনের ঘটনার পর অভিযুক্ত ইমরান ওরফে আসিফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আফতাব আলম। বছর চল্লিশের আফতাবের বাড়ি একবালপুর এলাকার ভূকৈলাস রোডে। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ একবালপুর লেনে আফতাব আলমের দর্জির দোকানে এসে উপস্থিত হয় শ্যালক ইমরান। তখন দোকানে কয়েকজন বিক্রেতা ছিলেন। তাদের বলে, জামাইবাবুর সঙ্গে তাঁর বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। তাঁরা যেন বাইরে বেরিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্রেতারা বেরিয়ে যাওয়ার পর ফাঁকা দোকানে কাউন্টারের পাশে এসে দাঁড়ায় সে। জামাইবাবুর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। বচসা হয় দু’জনের মধ্যে। এরপরই জামার ভিতর থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে জামাইবাবু আফতাবকে কোপাতে শুরু করে ইমরান। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় কুড়ি বার তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। চিৎকার করে পড়ে যান তিনি। চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে অন্যরা দোকানে চলে আসতেই দৌড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ইমরান। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তর বাড়ি ওয়াটগঞ্জের কবিতীর্থ সরণিতে। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে তাঁর সন্ধান পায়নি। পরিবার সূত্রে পুলিশ জেনেছে, দিদি ও জামাইবাবুর মধ্যে গোলমাল চলছিল। এমনকী, জামাইবাবুর বিরুদ্ধে বধূ অত্যাচারের মামলা হয়। দিদির উপর বিভিন্ন কারণে জামাইবাবু অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। ইমরান গত কয়েকদিন মনমরা হয়েছিল। যদিও বাড়ির লোকেরা কারণ জানতে পারেননি। দিদির উপর অত্যাচারের শোধ নিতেই জামাইবাবুকে খুন করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.