ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পণের দাবিতে গৃহবধূকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। দাবিমতো পণ না মেলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। হরিদেবপুরের ঘটনায় মৃতার ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে শনিবারই আলিপুর আদালতে তোলা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
নিহত মাম্পি দাস, মালদহের ইংরেজ বাজারের ঝলজলিয়ার বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাম্পির সঙ্গে হরিদেবপুরের বাসিন্দা এক যুবকের আলাপ হয়। বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় দু’জনের। মাম্পির বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবি করা হত। দাবিপূরণ না হওয়ায় মাম্পির উপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত। গত ২৬ জানুয়ারি গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মাম্পির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও বধূর বাপের বাড়ির লোকজন সে দাবি মানতে নারাজ। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মাম্পিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
মাম্পির বাবা গৌতম কুমার দাস তাঁর মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ, ৩০৪ বি, ৪০৬, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত মহেশতলার ব্যানার্জী ঘাটের বাসিন্দা। সে সম্পর্কে মাম্পির ননদের স্বামী। ধৃতকে শনিবারই আলিপুর আদালতে তোলা হবে। বাকিদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.