সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছট পুজোর সকালে রবীন্দ্র সরোবরের দুটি দরজার তালা ভাঙল বহিরাগতরা। অভিযোগ, শনিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণকারীদের গালিগালাজ করে ওই সরোবরের দরজার তালা ভাঙে বহিরাগতরা। পুলিশি নিরাপত্তার অভাবেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের।
প্রতি বছর শীতেই ভিন দেশের বহু পাখি ভিড় জমায় রবীন্দ্র সরোবরে। তাই পরিবেশপ্রেমীদের দাবি নানা পাখির ভিড়ে ঠাসা রবীন্দ্র সরোবরে কোনওভাবেই ছট পুজো করতে দেওয়া চলবে না। কারণ, ছট পুজো করতে দেওয়া মানেই তাতে যেমন দূষিত হবে সরোবরের জল। আবার তেমনই বাজি ফাটানো এবং ডিজে বাজানোর জেরে শব্দদূষণও হবেই। তাতে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা হবে পাখিদের। গত বছরই এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছিল সরোবরকে। তার ফলে সময়ের বহু আগেই পরিযায়ী পাখিরা সরোবর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই চলতি বছরও আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই ছট পুজো রবীন্দ্র সরোবরে করতে দেওয়া যাবে না। পরিবেশ কর্মীদের দাবি মেনে দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই অনুযায়ী রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হবে না জানিয়ে নোটিসও দেয় কলকাতা পুরসভা। অন্যান্য কোন ঘাটে ছট পুজো করা যেতে পারে তাও উল্লেখ করে দেওয়া হয় ওই নোটিসে। এমনকী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করেই তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, জোর করে একদল যুবক রবীন্দ্র সরোবরের তিন নম্বর এবং মাদার ডেয়ারি গেটের তালা ভেঙে দেয়।
ছিঁড়ে ফেলা হয় কলকাতা পুরসভার নিষেধাজ্ঞার নোটিসও। প্রাতঃভ্রমণকারীরা বাধা দিতে যায় তাতে। অভিযোগ, তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পুলিশি নিরাপত্তার অভাবেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলেই অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। এই ঘটনায় পুলিশি উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। বিকালের দিকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
তবে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কলকাতা পুলিশ। আবারও তিন নম্বর গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। রবীন্দ্র সরোবরের প্রতিটি গেটেই মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
ছবি ও ভিডিও: পিন্টু প্রধান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.