অর্ণব আইচ: প্রেমিক বিবাহিত। তার উপর আবার প্রেমিকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। দু-দু’টি কঠিন সত্যি নাকি সম্পর্কের শুরুতে জানতেন না তরুণী। তাই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, প্রেমিকও কিছু জানায়নি তাকে। কিন্তু আচমকাই সত্যিটা সামনে চলে আসে। তাই প্রতারিত হয়েছেন বলেই ভাবতে শুরু করেন কলেজছাত্রী। অভিমানে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কলেজছাত্রীর সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি যুবক। তাই তিক্ততার পারদ চড়তে থাকে। সে আক্রোশেই তরুণীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন প্রেমিকের। সাতসকালের এই ঘটনায় হতবাক রিজেন্ট পার্কের (Regent Park) আনন্দ পল্লি এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার সকালে ঘরে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন কলেজ ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। আচমকাই বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে জয়ন্ত। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছটফট করে মৃত্যু হয় বছর কুড়ির তরুণীর। এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক রিজেন্ট পার্কের আনন্দ পল্লির বাসিন্দা। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণী প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত শহরেরই এক কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বেশ কয়েক বছর ধরে জয়ন্ত হালদার নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল প্রিয়াঙ্কার। দিব্যি চলছিল প্রেম। তবে আচমকাই তরুণী জানতে পারেন জয়ন্ত বিবাহিত। জয়ন্তের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলেও জানতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। তবে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর কথা জয়ন্ত আগে প্রিয়াঙ্কাকে জানায়নি বলেই দাবি নিহতের পরিবারের। তাই সে কথা জেনে যাওয়ার পর থেকেই জয়ন্তর সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার। ঝগড়াঝাটি প্রায় লেগেই থাকত দু’জনের। এভাবে আর সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই ভেবেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তাই জয়ন্তের সঙ্গে সম্পর্ক আর রাখতে চাননি কলেজছাত্রী। ইদানীং জয়ন্তর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জয়ন্তর সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন না ওই কলেজছাত্রী। তবে প্রিয়াঙ্কার সিদ্ধান্তকে মানতে রাজি হননি জয়ন্ত। তাই তিক্ততা ক্রমশ বাড়ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.