আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: দিনটা একটু আলাদা৷ কী রাজ্যবাসীর কাছে, কী বর্ধমানের সরকার পরিবারের কাছে৷ সব পথ এসে মিলেছে রাজপথে৷ আর সেই পথের মাঝেই অন্যরকম ঘটনার সাক্ষী রইল শহর কলকাতা৷ একুশের সমাবেশে যোগ দিতে এ শহরে পা রাখতেই বর্ধমানের রেখার কোল আলো করে এল এক মেয়ে৷ একুশের শহিদ দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাঁরা মেয়ের নাম রাখলেন – একুশি৷
বরাবর বর্ধমানের অধীর সরকার এবং স্ত্রী রেখা তৃণমূলের সমর্থক৷ স্থানীয় বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে তাঁদের সরাসরি অবদান, যোগ না থাকলেও পরোক্ষ একটা সমর্থন থাকেই৷ প্রতি বছর একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস স্মরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে বর্ধমান থেকে স্বামী-স্ত্রীর কলকাতায় আসা চাই-ই চাই৷ এবছর রেখার শারীরিক অবস্থা অন্যরকম, তিনি অন্তঃসত্ত্বা৷ তা সত্ত্বেও কাছের মানুষকে সামনে থেকে দেখার, কথা শোনার ইচ্ছেটা ছাড়তে পারেননি৷ ওই অবস্থাতেই বর্ধমান থেকে কলকাতার পথে পাড়ি দিয়েছেন৷
রবিবার বর্ধমান থেকে বাসে চড়ে কলকাতায় আসছিলেন অধীর সরকার ও রেখা সরকার৷ বাসের মধ্যেই প্রসব বেদনা ওঠে রেখার৷ বরানগরের টবিন রোডের কাছে তিনি এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন৷ আর সঙ্গে সঙ্গেই মেয়ের নামকরণও করেন – একুশি৷ একুশে জুলাইয়ের সঙ্গে এভাবে মেয়ের জন্মের মুহূর্ত মিলমিশে এক হয়ে যাওয়ায় এমন এক নাম রেখেছেন অধীর-রেখা৷
ফি বছর একুশে জুলাই সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে কলকাতায় আসেন বর্ধমানের সরকার দম্পতি৷ আর ফেরেন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে৷ এবছর তাই রেখার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শহিদ সমাবেশে তাদের আসা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি৷ তবে এবার যা নিয়ে তাঁরা ফিরে গেলেন, সেটাই যে সুন্দরতম, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এলেন দুজন, আর ফিরে গেলেন এক নতুন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.