ফাইল ছবি
অভিরূপ দাস: বয়স মোটে ৯ মাস। মাথায় ফোড়া হয়েছিল। শিশুটিকে আনা হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু, বাঁচানো গেল না তাকে। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রবিবার সকালে ধুন্ধুমার কাণ্ড এসএসকেএম-এ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ভরতি নেওয়া তো দূর অস্ত, স্যালাইন আর একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার ছাড়া কার্যত একরত্তি শিশুটির কোনও চিকিৎসাই হয়নি। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মারা গিয়েছে সে।
[রোগীর পরিজনকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার হাসপাতালের স্টোরকিপার]
ন’মাসের শুভাঙ্গী মালিকের বাড়ি বেহালার চণ্ডীতলায়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মাথায় ফোড়া হয়েছিল শিশুটির। গত কয়েক দিন ধরেই খুবই কষ্ট পাচ্ছিল সে। চিকিৎসাও চলছিল। তবে কিছুতেই ফোড়া কমছিল না। শেষপর্যন্ত, রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শুভাঙ্গীকে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে চিকিৎসকরা দেখার পর, শিশুটি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে অ্যানেক্স ভবনে। সেখানে শুভাঙ্গীকে এক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। চালু করা হয় স্যালাইনও। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। সকাল ন’টা নাগাদ মারা যায় ন’মাসের শিশুটি। সন্তানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। এসএসকেএম চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ শুভাঙ্গী মারা গিয়েছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন পুলিশকর্মীরা।
[অবতরণের সময় রানওয়েতে ছড়িয়ে পড়ল বিমানের জ্বালানি, প্রাণে বাঁচলেন ২০০ যাত্রী]
এদিকে আবার এসএসকেএম-র শাখা বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের স্টোরকিপারকে গ্রেপ্তার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, রোগীর পরিবারে লোককে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
[মায়ের জন্য রক্তদানে নয়া নজির গড়ার লক্ষ্যে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.