ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দিদিকে বলেই মুশকিল আসান। এবার চিকিৎসা পরিষেবাও মিলছে দিদিকে বলে। গৃহহীন যুবকের শরীরে বাসা বেঁধেছিল যক্ষ্মা। কিন্তু চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছিল না হাওড়ার চন্দ্রনাথ মিশ্রর। কিন্তু মুশকিল আসান হল মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে। প্রতিবেশীর ফোন পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শেষপর্যন্ত ভরতি করা হয় তাঁকে। তার আগে তাঁকে ফিরিয়েছিল হাওড়া হাসপাতাল ও মহেন্দ্র ভট্টাচার্য হাসপাতাল। অন্যদিকে, আরও একটি ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা হল দিদিকে বলেই। সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেন বারুইপুর হাসপাতালের সুপার। নির্বিঘ্নেই প্রসব করেছেন মহিলা। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।
হাওড়ার ঘটনায় ‘দিদিকে বলো’ ফেসবুক পেজে তুলে ধরা হয়েছে। যিনি ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেছিলেন, সেই জগন্নাথ চক্রবর্তীর ভিডিও বার্তা আপলোড করা হয়েছে নির্দিষ্ট ফেসবুক পেজে। সেখানে জগন্নাথ বলেন, ‘বহু জায়গায় চেষ্টা করার পর দিদিকে বলো ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে এক চান্সেই লাইন পেয়ে যাই। আমাকে একটু লাইনটা ধরে থাকতে বলা হয়েছিল। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করে একটি আইডি নম্বর দিয়ে বলা হয়েছিল, এই নম্বর থেকেই আপনি স্টেটাস জেনে যাবেন। খানিক পরেই ফোন এসেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে।’
আরও দুটি ঘটনায় দিদিকে বলেই সুরাহা হয়েছে। হুগলির পোলবা-দাদপুর এলাকার বাসিন্দা এবাদুর রহমানের শ্বশুর পায়ে ব্যথা নিয়ে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি। কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না তিনি। এমনকী হাসপাতালের কর্মীরা নাকি দুর্ব্যবহার করেন তাঁদের সঙ্গে। দিদিকে বলে ফোন নম্বরে অভিযোগ জানান এবাদুর রহমান। তারপরেই হাসপাতাল সুপারকে খবর দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। সুপার গিয়ে রোগীর পরিষেবা নিশ্চিত করেন। আরেকটি ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা রিমা দাতোর ক্যানসার আক্রান্ত পরিজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতির সমস্যা সমাধান হয় দিদিকে বলোর মাধ্যমে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.