স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের হিন্দিভাষী বাসিন্দাদের শিক্ষার প্রসারে একটি পৃথক হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি ভাষার বিভিন্ন শাখা এবং হিন্দি সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ চর্চাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
আগামী ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। সেখানে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি সংক্রান্ত একটি বিল আসার কথা। যার নাম ‘দ্য হিন্দি ইউনিভার্সিটি ওয়েস্টবেঙ্গল বিল ২০১৯’।হাওড়ার শিবপুর এলাকায় এই হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের, সূত্রের খবর এমনটাই। এছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। যা নিয়ে বিলও আসছে এই অধিবেশনে।
শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিকে জনজীবনে আরও বেশি করে প্রয়োগ করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। সেইমতো সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করতে রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তায় তৈরি হয়েছে ‘ট্রেভেলেটর’। অতি সহজেই না হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়া যাবে ট্রেভেলেটরের মাধ্যমে। অর্থাৎ এককথায় চলমান ফুটপাথ বলতে যা বোঝায়, ট্রেভেলেটর তাই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেও এবার এই
ট্রেভেলেটর ব্যবস্থা কার্যকর হবে। কালীঘাটের স্কাইওয়াকে ট্রেভেলেটর থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু ট্রেভেলেটরকে একটি আইনি পরিমণ্ডলে আনতে চাইছে সরকার। সঙ্গে লিফট ও এসক্যালেটরকেও একইভাবে সংযুক্ত করা হচ্ছে। আসন্ন রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে মোট ১২টি বিল আনছে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল লিফটস্, এসক্যালেটরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলেটরস বিল ২০১৯’।
এর আগে ১৯৫৫ সালে এই সংক্রান্ত একটি আইন ছিল, ‘দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল লিফটস্ অ্যাল্ড এসক্যালেটরস অ্যাক্ট’। আগের বিলটিকে তুলে নিয়ে রাজ্য সরকার নতুন একটি বিল আনছে। যেখানে লিফট, এসক্যালেটরের সঙ্গে ট্রেভেলেটরকেও যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যজুড়ে উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নততর ব্যবস্থা ট্রেভেলেটর। বিমানবন্দরে যা দেখতে পাওয়া যায়। প্রশাসন
সূত্রে খবর, ট্রেভেলেটর স্থাপন করার ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবেদনের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের পর ছাড়পত্র দেবে প্রশাসন।
পাশাপাশি, এবারের অধিবেশনে সিভিক ভলান্টিয়ার, দমকল, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য বিষয়ক একাধিক বিল আসছে। বাম ও কংগ্রেস একযোগে দাবি জানিয়েছে, সমসাময়িক একাধিক বিষয়কে বিধানসভায় আলোচনার জন্য আনা হোক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছি। সেইসঙ্গে দুর্গাপুজোর উপর আয়কর দপ্তরের হানা নিয়েও আলোচনা হোক, সেটা চাই।” বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “জালিয়ানওয়ালাবাগের ১০০ বছর নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের সমস্যা-সহ সাম্প্রতিক একাধিক বিষয় নিয়ে আমরা বিধানসভায় আলোচনার দাবি করেছি।”
বুধবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে সর্বদল বৈঠক হয়। বিধানসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশন নিয়ে আলোচনা হয়। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপির প্রতিনিধিরা সর্বদল বৈঠকে যোগ দেন। রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবি বিরোধীদের। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১০-১২ দিন বিধানসভার অধিবেশন চলবে। বিভিন্ন দপ্তরের বিল আসবে এই অধিবেশনে। আলোচনা হবে জালিয়ানওয়ালা বাগের ১০০ বছর নিয়েও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.