দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মহারাষ্ট্রের ধুম লেকে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক বাঙালি গবেষক। রবিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করল সেনাবাহিনী। মৃতের নাম সৌম্যজিৎ সাহা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে মুম্বই শহর লাগোয়া ধুম লেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন সৌম্যজিৎ। লেকে স্নান করতে নেমে আচমকাই তলিয়ে যান তিনি। এদিকে, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মুম্বই রওনা হয়ে গিয়েছেন সৌম্যজিতের বাবা-মা।
[হাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, এমআরআই মেশিনে ঢুকে মৃত্যু যুবকের]
মৃত সৌম্যজিৎ সাহার বাড়ি হুগলির মানকুণ্ডু জে সি খান রোডে। এলাকায় চিকিৎসক হিসেবে নামডাক আছে তাঁর বাবার। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন সৌম্যজিৎ। ২০১৩ সালে মুম্বইয়ে যান তিনি। সেখানকার টাটা সেন্টারে ক্যানসার গবেষক হিসেবে যোগ দেন। এ বছরই সৌম্যজিতের ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু, ঘরে আর ফেরা হল না বছর পঁচিশের ওই তরুণের। মহারাষ্ট্রের ধুম লেকে তলিয়ে গেলেন তিনি।
[মিথ্যে বলার অপরাধে নাবালক ছেলেকে লাথি বাবার, ভাইরাল ভিডিও]
জানা গিয়েছে, শনিবার তিনজন বন্ধুর সঙ্গে মুম্বই শহরের উপকণ্ঠে ধুম লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন সৌম্যজিৎ। লেকে ধারে তাঁবুতে রাত কাটানোরও পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু, ধুম লেকে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন ওই বাঙালি গবেষক। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার একাই ধুম লেকে স্নান করতে নেমেছিলেন সৌম্যজিৎ। তাঁর বন্ধুরা পাড়ে ছিলেন। আচমকাই লেকের জলে তলিয়ে যেতে থাকেন ওই বাঙালি গবেষক। তাঁকে তলিয়ে যেতে দেখে জলে ঝাঁপ দেন সৌম্যজিতের বন্ধু অবনীশ শ্রীবাস্তব। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান আর এক বন্ধু। তল্লাশিতে নামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাতভর তল্লাশির পর, রবিবার সকালে সৌম্যজিৎ সাহার দেহ উদ্ধার হয়। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি অবনীশের। এদিকে, সৌম্যজিতের মৃত্যুর খবরে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে মানকুণ্ডুর জেসি খান রোডে। মুম্বই রওনা দিয়েছে মৃতের বাবা ও মা।
[লাগাতার তৃতীয় দিনও হিংসার আগুনে পুড়ছে কাসগঞ্জ, গ্রেপ্তার ৪৯
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.