প্রতীকী ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রায় তিনমাস ধরে গোটা দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রনের তুতোভাই JN.1। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের উপপ্রজাতির ভয়াবহতা কম থাকলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই অভিজ্ঞতা যে সত্যি রবিবারের তথ্য দেখেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে গোটা দেশে এই মুহূর্তে ১২০০ জন JN.1-এ আক্রান্ত। তার মধ্যে বাংলায় রয়েছেন ৯৬ জন। বস্তুত ঠান্ডার প্রকোপ যত বাড়ছে সংক্রমণের আধিক্যও বাড়ছে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেরই এক হাল। তবে আশার কথা এই যে, বয়স্ক ছাড়া বাদ বাকি সকলেরই জ্বর-সর্দিকাশির উপর দিয়েই যাচ্ছে। কোভিড পরীক্ষা না করানোর সংখ্যাটাই বেশি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগীর কথায়, “মানুষ বুঝেই গিয়েছে কোভিডের সংক্রমণে পর ভয়াবহতা নেই। তাই পরীক্ষাও কম করাচ্ছে। তবে উচিৎ শ্বাসকষ্ট, জ্বর থাকলেও পরীক্ষা করে নেওয়া।”
রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি রাজ্য থেকে ২৭২ টি কোভিড পজিটিভ নমুনা আরটিপিসিআর পরীক্ষার পর কল্যাণীর কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। সেই তথ্য যেমন রাজ্যের কাছে এসেছে তেমনই কেন্দ্রের কোভিড পোর্টালেও দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ২৭২ এর মধ্যে ৯৬ টি JN.1 উপপ্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে সব থেকে বেশি এই প্রজাতির কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে কর্ণাটকে (২১৫)। তার পরই অন্ধ্রপ্রদেশ (১৮৯), তৃতীয়স্থানে মহারাষ্ট্র (১৭০), কেরল (১৫৪), গোয়া (৯০), তামিলনাড়ু (৮৮), গুজরাট (৭৬)। সবথেকে কম নাগাল্যান্ডে ১৭ জন। তেলঙ্গানা ও রাজস্থানে ৩২ জন করে JN.1 সংক্রমিত পাওয়া গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে কোভিড প্রোটোকল মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.