অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোমণ্ডপে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে গ্রেপ্তারির ঘটনায় জোর শোরগোল। ধৃত ৯ জনের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। আলিপুর আদালতের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের।
বুধবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বড় পুজো মণ্ডপে কিছু মানুষ ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ব্যানার নিয়ে মণ্ডপে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকেন। মণ্ডপে লিফলেটও বিলি করা হয়। পুলিশ নয় জনকে গ্রেফতার কর হয়।এরপরই ষষ্ঠীর রাতে লালবাজার সামনে বিকোভ দেখান। সেখানে জুনিয়র ডাক্তাররাও হাজির ছিল বলে খবর। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমায়েত, সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা , ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলার সময়ও আলিপুরে জুনিয়র ডাক্তাররা জমায়েত হন। বিক্ষোভ দেখান।
এদিন ধৃতদের জামিনের আবেদন করে তাদের আইনজীবী বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ছিল। সুপ্রিম কোর্ট ও জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যাবে। সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট আটক করে রাত ১১.৩৫ মিনিট এফআইআর করা হয়েছে।সরকারি আইনজীবী এদিন ধৃতদের ১২দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বলেন, পুলিশ স্বপ্রণোদিত কিছু করেনি। একজনের।অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে। যারা গ্রেপ্তার তারা কেউ ডাক্তার নয়। ত্রিধারা মণ্ডপে প্রচণ্ড ভিড় হয়। সুপ্রিম কোর্ট কি ওই জায়গায় প্রতিবাদ করতে বলেছে? ওটা কি প্রতিবাদের জায়গা? ভিড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কী হবে? তার দায় কে নেবে? প্রতিবাদ নিয়ে আপত্তি নেই। প্রতিবাদের জায়গা নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর এলাকার বাসিন্দা বিট্টু কুমার ঝা নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দমদমের উত্তরণ সাহা রায়, ট্যাংরার কুশল কর, নরেন্দ্রপুরের জহর সরকার এবং সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, পূর্ব বর্ধমানের নাদিম হাজারি, হাসনাবাদের ঋতব্রত মল্লিক, খড়দহের চন্দ্রচূড় চৌধুরী, রহড়ার দৃপ্তমান ঘোষ এই নজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, “ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখে স্পষ্ট যে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এটা করা হয়েছে। জামিন দিলে অন্য মণ্ডপে গিয়েও একই কাজ করবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.