Advertisement
Advertisement

Breaking News

Shankar Adhya

শংকরের সংস্থা থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে একদিনে ‘পাচার’ ৮০ হাজার ডলার, চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি

আদালতে দুবাইয়ের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত এই তথ্য তুলে ধরেছে ইডি।

80 thousand dollars transaction from Shankar Adhya's bank account in single day । Sangbad Pratidin

শংকর আঢ্য। ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 5, 2024 9:10 am
  • Updated:February 5, 2024 9:14 am  

অর্ণব আইচ: শংকর আঢ‌্যর সংস্থার অ‌্যাকাউন্ট থেকে দুবাইয়ের একটি ব‌্যাঙ্কের অ‌্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৮০ হাজার ডলার। সম্প্রতি এই চাঞ্চল‌্যকর তথ‌্য এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। আদালতেও দুবাইয়ের ব‌্যাঙ্ক সংক্রান্ত এই তথ‌্য তুলে ধরেছে ইডি। এই বিপুল টাকা রেশন বন্টন দুর্নীতির, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি ইডির গোয়েন্দাদের।

ইডি জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম‌্যান শংকর আঢ‌্যর ফোরেক্স বা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব‌্যবসা রয়েছে। তাঁর নিজের ও পরিজনদের নামে প্রায় ৯০টি এই ধরনের সংস্থা রয়েছে। ওই সংস্থাগুলির মাধ‌্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে দাবি ইডির। শংকর আঢ‌্যর সংস্থা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই ইডির গোয়েন্দারা মধ‌্য প্রাচ্যে একটি সংস্থার সন্ধান পান। অভিযোগ ওঠে, বাকিবুর রহমানের সহযোগিতায় শংকর দুবাইয়ে তাঁর ছেলের নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন। ওই সংস্থার ব‌্যাঙ্ক লেনদেন সংক্রান্ত তথ‌্য নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, ওই সংস্থা থেকে কয়েক দফায় অন‌্য একটি সংস্থার অ‌্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে। ওই দ্বিতীয় সংস্থাটি ভারতীয় ও এর মালিক শঙ্কর আঢ‌্য ও বাকিবুরদেরই ঘনিষ্ঠ বলে ইডির ধারণা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তুষারপাতে আটকে পড়া অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করলেন জওয়ানরা, ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]

ইডির কাছে আসা তথ‌্য অনুযায়ী, গত ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর শংকর আঢ‌্যর সংস্থার সঙ্গে ওই দ্বিতীয় সংস্থাটির ৭৯ হাজার ৫৪৮ ডলার লেনদেন হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় এর মূল‌্য প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। ওই বছর রেশন বন্টন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে যে পাচার হয়, সেই ব‌্যাপারে ইডি নিশ্চিত। জেরার মুখে শংকর আঢ‌্য ইডি আধিকারিকদের জানান যে, তিনি তাঁর ছেলের নামে দুবাইয়ের সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন বিদেশে আমদানি রপ্তানির ব‌্যবসার প্রয়োজনে। পরে শংকর ওই সংস্থাটির লাইসেন্সও পুনর্নবীকরণ করেননি।

এছাড়াও দুবাইয়ের ব‌্যাঙ্কে শংকরের ওই সংস্থা ও দ্বিতীয় সংস্থাটির অ‌্যাকাউন্ট রয়েছে বলে দাবি ইডির। সেই ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে একদিনেই শংকরের একটি অ‌্যাাকউন্ট থেকে দুবাইয়ের ওই সংস্থাটিতে এই বিপুল পরিমাণ লেনদেন হল কেন, তা নিয়ে ইডি প্রশ্ন তুলেছে। এর উত্তর পেতে ওই দ্বিতীয় সংস্থার মালিকের সন্ধান চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। ওই দ্বিতীয় সংস্থাটির মালিককেও ইডি জেরা করতে চায়। এছাড়াও শংকরের সংস্থায় ওই বিপুল পরিমাণ ডলার যে ফোরেক্স সংস্থাগুলির মাধ‌্যমে এসেছে, সেগুলির মালিক কারা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি।

[আরও পড়ুন: ‘তুমি যা জিনিস গুরু’, পুনম কাণ্ডে মারাত্মক টিপ্পনি শিলাজিতের! কী বললেন গায়ক?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement