স্টাফ রিপোর্টার: উৎসবের মরশুমে হোটেল, রেস্তরাঁয় ভেজাল রুখতে অভিযান চলছে। সেইসঙ্গে এবার মিষ্টির দোকানে হানা দিচ্ছেন খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা (Food Safety officers)। কোথাও কোনও ভেজাল আছে কি না, সেদিকে কড়া নজর। সেই তালিকায় এবার নতুন করে জুড়ল নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ু। বিজয়ার আবশ্যকীয় উপকরণেও ভেজাল মিশছে কি না, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
পুজো গিয়েছে। বিজয়ার মিষ্টিমুখ (Sweet) চলছে। সামনে কালীপুজো, দীপাবলি (Diwali), ভাইফোঁটা রয়েছে। বঙ্গে এখন মিষ্টির চাহিদা রয়েছে। মিষ্টিমুখ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যের দফারফা না হয়। তাই ভেজাল রুখতে মিষ্টির দোকানে অভিযানে নেমেছে কলকাতা পুরসভার খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধক দপ্তর। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (FSSAI) নির্দেশে মঙ্গলবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনই শহরে বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ঘুরে ৩০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরসভার খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধক দপ্তর সূত্রে খবর, ছানা, ক্ষীরের মিষ্টির সঙ্গে বাজার চলতি নাড়ুর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই নমুনা সংগ্রহ করে FSSAI-এর পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে পুজোর সময়ও হোটেল রেস্তরাঁ এবং মণ্ডপ চত্বরে থাকা খাবারের দোকানগুলিতেও অভিযান চালানো হয়। মোটের উপরে মণ্ডপের খাবারের গুনমাণ ভাল ছিল, এমনটাই দাবি পুরসভার। মণ্ডপের স্টলগুলির খাবারে নমুনা সংগ্রহ করে সেখানে পরীক্ষা করা হয়। প্রায় ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার মধ্যে চারটি স্টলের খাবারে ভেজাল মেলায় নষ্ট করে দেওয়া হয় খাবার।
এছাড়া হোটেল, রেস্তরাঁ থেকে ৪০টি খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। সেগুলির রিপোর্ট এখনও আসেনি। খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধক বিভাগের এক আধিকারিক জানান, পুজোর দিনে প্রতিটি বরোতে একদিন করে অভিযান চালানো হয়। মণ্ডপ চত্বরে দোকানগুলির খাবারে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ৯০টির মধ্যে ৪টি দোকানের খাবারের গুণমান খারাপ ছিল। মোটের উপর বাকিগুলি ঠিকঠাক ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.