অর্ণব আইচ, কলকাতা: হায়দরাবাদ, উন্নাওয়ের ঘটনায় সর্তক কলকাতা পুলিশ। এবার রোড সাইড রোমিওদের ধরতে শুক্রবার রাতভর শহরজুড়ে অভিযান চালায় পুলিশ বাহিনী। ১৩ জন ইভটিজার-সহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫১টি মোটরবাইক আটক করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কলকাতাবাসী।
রাস্তায় চলতে গেলে কখনও কটূক্তি। কখনও আবার মহিলাদের পিছু ধাওয়া করে মদ্যপরা। বাইক বাহিনীর তাণ্ডব তো রয়েছেই। আর রাতবিরেতে বাড়ি ফিরতে হলে হাজারও বিপদের মুখে পড়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। প্রায়শই এই ধরনের অভিযোগ আসে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারের হেল্পলাইন নম্বর ১০০-য়। এই পরিস্থিতিতে মেয়েদের মনে সাহস জোগাতে উদ্যোগী কলকাতা পুলিশ।
শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কলকাতা পুলিশের বিশেষ মহিলা টিম ‘উইনার্স’ এবং লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা যৌথভাবে অভিযান চালায়। পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিটের মতো হাই প্রোফাইল এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়। অভিযান চালানো হয় পার্ক সার্কাস, বেনিয়াপুকুরের মতো এলাকাতেও। এদিন রাতেই নেতাজিনগর থানা এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নাকা চেকিং করা হয়। মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানো ও ইভটিজারদের ধরপাকড় চলে রাতভর। প্রায়দিনই এধরনের অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
হায়দরাবাদ, উন্নাওয়ের মতো ঘটনা পর আতঙ্কে ভুগছে গোটা দেশ। ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। শহরের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। চালু হয়েছে হেল্প ডেস্ক। একাধিক টোল-ফ্রি নম্বরও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল এই ধরপাকড় অভিযান। পুলিশ সূত্রে খবর, উইনার্স টিমে ছিলেন ৮ জন মহিলা পুলিশকর্মী। তাঁরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি চালায়। মোট ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ১৪ জন ইভটিজারকে আটক করা হয় রাতেই।
হায়দরাবাদের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই কি তৎপর হল কলকাতা পুলিশ? অবশ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা তা মানতে চাননি। তাঁদের কথায়, সারা বছরই শহরবাসীর পাশে, থাকে কলকাতা পুলিশ। প্রতিদিন রাতেই পুলিশের টহলদারি চলে। রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নাকা চেকিং করা হয়। মহিলাদের নিরাপত্তায় বরাবরই সজাগ লালবাজার, দাবি পুলিশকর্তার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.