ফাইল ছবি
কৃষ্ণকুমার দাস: মহানগরে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত রোগীর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ এখন উপসর্গহীন বলে জানিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা। এমনকী অ্যান্টিজেন টেস্টে যাঁদের নেগেটিভ আসছে তাঁদেরও আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পুরসভার স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশাসক অতীন ঘোষ।
শহরে গত কয়েকদিনে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি নিয়ে সোমবার স্বাস্থ্য প্রশাসকের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগের চেয়ে কলকাতায় এখন অনেক বেশি সংখ্যায় কোভিডের পরীক্ষা হচ্ছে। যাঁদের শরীরে অন্যান্য অসুস্থতা বেশি আছে, তাঁদেরই কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত্যু মাঝে মধ্যে বাড়ছে। নয়তো শহরের করোনা পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল।” কিন্তু কলকাতায় উপসর্গহীনদের বৃদ্ধির খবরে করোনা আক্রান্তরা শহরের পক্ষে স্বস্তিদায়ক বলে দাবি পুরসভার। ইতিমধ্যে স্বয়ং পুরমন্ত্রীর ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মাত্র ১০০ জনের মধ্যে ১৯ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছিল। এই ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনই ছিলেন উপসর্গহীন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য, উত্তর কলকাতার চেয়ে দক্ষিণ কলকাতায় অনেক বেশি সংখ্যায় উপসর্গহীন করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে। বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘুরে আসার পর তথ্য মিলছে। অনেকে বাড়িতে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো করোনার মৃদু্ উপসর্গ হলে পরীক্ষাও করাচ্ছেন না। অন্য সংক্রমিতের প্রেসক্রিপশন দেখেই ওষুধ খেয়ে বাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে নিঃশব্দে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি।
উপসর্গহীনদের নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতীনবাবু বলেন, “মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিনই অ্যান্টিজেন টেস্ট ক্যাম্প হচ্ছে। পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্সে মোবাইল ভ্যানও লালারস সংগ্রহ করে পিজি হাসপাতালে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে যা তথ্য, তাতে শহরে করোনা আক্রান্তের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই উপসর্গহীন। এতে অবশ্য শহরবাসীর লাভ হচ্ছে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে।”
দিন কয়েক আগেই পুরসভার কোভিড কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ শান্তনু সেন দাবি করেছিলেন, উপসর্গহীনরা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ আগস্টের পর শহরে করোনা সংক্রমণ কমবে। এদিনও দক্ষিণ কলকাতায় ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে জিডি বিড়লা স্কুলের কাছে আরটিপিসিআর (RTPCR) পদ্ধতি মেনে ১১০ জনের কাছ থেকে ১০ নম্বর বরোর তরফে লালারস সংগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্যে এই ওয়ার্ডে ১৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত জানান, মূলত বসতিবাসীদের এই পরীক্ষা করানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.