শুভময় মণ্ডল: প্রতিবছরের মতো এবারও দশেরা উৎসব পালন করতে চলেছে সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদ। গত বছর ১০টি রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছিল এখানে। কিন্তু, এবার ৬০ ফুট রাবণের কুশপুতুল তৈরি করা হচ্ছে। একই মাপের বানানো হয়েছে মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের কুশপুতুলও। বাংলার সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নাগরিকদের সামনে তুলে ধরাই এই দশেরা উৎসবের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
তাঁরা আশা করছেন, প্রতিবছরে মতো এবছরও সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের মাঠে দশেরা উদযাপন করতে হাজির হবেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। রাবণের কুশপুতুল পোড়ানোর সময় হাজির থেকে অর্ধমের উপর ধর্মের জয় প্রত্যক্ষ করবেন তাঁরা। উদ্যোক্তাদের মতে , প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু ধর্ম মতে বিশ্বাসীরা দশেরার সময় বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন। নিজের বাড়িতে বা ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে থাকা দেবতার মূর্তিকে পুজো করেন। অনেকে আবার বিভিন্ন মেলার আয়োজন করে দশেরা উপলক্ষে। কোথাও আবার রাবণের কুশপুতুল নিয়ে হওয়া দীর্ঘ পদযাত্রায় অংশ নেন কেউ কেউ। মা দুর্গার প্রতিমা জলে বিসর্জন দেওয়ার পরে সন্ধের সময় রাবণের কুশপুতুল দাহ করার অনুষ্ঠানেও হাজির থাকেন।
এবছরের দশেরা উৎসব প্রসঙ্গে সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ললিত বেরিওয়াল বলেন, ‘মন্দকে হারিয়ে ভালর জয় উদযাপন করার জন্য দশেরা উৎসব পালন করি। এবছর এর জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে সেন্ট্রাল পার্কে। তৈরি করা হয়েছে ৬০ ফুট লম্বা রাবণের একটি কুশপুতুল। এর পাশাপাশি এই অনু্ষ্ঠানের সময় আলাদা করে একটি আগুনের শো-রও ব্যবস্থা করা হয়েছে। দশেরায় হতে চলা নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক শিল্পীকেও নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। এছাড়া সন্ধে সাতটায় কুশপুতুল পোড়ানোর আগে প্রথা মেনে বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানও করা হবে। আশা করছি এবারের এই অনুষ্ঠানে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আমাদের
অনুষ্ঠান দেখতে আসবেন।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সমাজের অসহায় ও বঞ্চিত মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদ। তাঁদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্কুল এবং দাতব্য চিকিৎসালয় চালানোর পাশাপাশি রক্তদান শিবির ও বই বিতরণ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.