সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরুণদেবের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে পুড়ল বাংলার সর্বোচ্চ রাবণের কুশপুত্তলিকা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দশমীতে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এই রাবণ দহন অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। ৬০ ফুট উঁচু রাবণ দহণ চাক্ষুষ করতে হাজির ছিলেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু ওইদিন সন্ধেয় বাদ সাধেন বরুণদেব। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর ছোঁড়া অগ্নিবাণে প্রথমে রাবণ জ্বলতে শুরু করলেও বৃষ্টির জন্য তা নিভে যায়। পরে অবশ্য জ্বলে ৬০ ফুটের রাবণ। পোড়ে একই মাপের বানানো মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের কুশপুতুলও। বিনাশ হয় অশুভ শক্তির।
এবছরের দশেরা উৎসব প্রসঙ্গে সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ললিত বেরিওয়াল বলেন, ‘মন্দকে হারিয়ে ভালর জয় উদযাপন করার জন্য দশেরা উৎসব পালন করি। এবছর এর জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেন্ট্রাল পার্কে। তৈরি করা হয়েছিল ৬০ ফুট লম্বা রাবণের একটি কুশপুতুল। এর পাশাপাশি এই অনু্ষ্ঠানের সময় আলাদা করে একটি আগুনের শো-রও ব্যবস্থা করা হয়। দশেরায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক শিল্পীকেও নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। এছাড়া সন্ধে সাতটায় কুশপুতুল পোড়ানোর আগে প্রথা মেনে বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানও করা হয়।
এদিন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিবেক গুপ্তা, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া প্রমুখ। এদিন প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় রাবণ দহন শুরু হওয়ার আগেই সল্টলেকে মুষলধারায় বৃষ্টি নামে। আর তার জেরেই প্রথমে পোড়েনি রাবন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু অগ্নিবাণ মারলে রাবণের বুকে লাগে, কিন্তু সেই আগুন নিভে যায় বৃষ্টির জন্য। পরে অবশ্য রাবণ দহন সম্পন্ন হয়। একইসঙ্গে আগত দর্শনার্থীদের জন্য ছিল আতশবাজি প্রদর্শনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.