Advertisement
Advertisement
দোল

সাবধান! দোলে কুকুরের গায়ে রং দিলে ৬ মাসের জেল

খুশি সারমেয়প্রেমীরা৷

6 months of prison for smearing animals with colours
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 20, 2019 12:59 pm
  • Updated:March 20, 2019 12:59 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়: রাত পোহালেই দোল৷ বসন্তের শেষে একে-অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার পালা৷ এই বছরের একটি কিংবা দু’টি দিন যেন সবকিছুই বদলে যায়৷ আট থেকে আশি কম বেশি সকলেই রঙিন হয়ে ওঠেন৷ কিন্তু শুধু কি প্রিয়জনদের গায়ে রং দিয়েই শান্ত থাকেন সকলেই? অনেকেরই অভ্যাস রাস্তায় থাকা সারমেয়দেরও রং মাখিয়ে দেওয়ার৷ আপনার কি এরকম অভ্যাস রয়েছে? যদি থাকে তবে সাবধান৷ নইলে মাটি হতে পারে দোলের আনন্দ৷ আগামী ছ’মাস শ্রীঘরেও থাকতে হতে পারে আপনাকে৷

[‘খেলব হোলি, ভাং খাব না!’ কিন্তু হ্যাংওভার কাটাবেন কী করে?]

আগামী ২১ মার্চ দোল এবং ২২ মার্চ হোলি৷ এই দু’দিন দোল উপলক্ষে বিশেষ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট৷ প্রথমত, কুকুরের গায়ে রং দিয়েছেন খবর পেলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷ ওই ব্যক্তিকে প্রথমে রং দিতে বারণ করা হবে৷ সতর্ক করা হবে তাঁকে৷ সতর্কতায় কাজ না হলে জরিমানা করা হবে৷ তাতেও যদি শিক্ষা না হয় তবে প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্টে ওই ব্যক্তির সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত কারাবাসও হতে পারে৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, পথকুকুরদের কেউ স্নান করিয়ে দেয় না৷ ফলে তারা নিজেকে পরিষ্কার রাখার জন্য জিভের সাহায্য নেয়৷ স্বাভাবিকভাবেই গায়ে রং লাগা অবস্থায় জিভ দিয়ে চাটলে সারমেয়দের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রবেশ করে৷ তার ফলে কুকুরদের পেটের সমস্যা তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা৷ এছাড়াও রঙে ব্যবহৃত রাসায়নিকের মাধ্যমে অনেক সময়ই দেখা যায় ত্বকের সমস্যাও৷ উঠে যায় গায়ের লোম৷ শুধু তাই নয়, ছোট ছোট শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে সারমেয়র৷ তথ্য অনুযায়ী, দোলের পর গায়ের রং লাগা বহু কুকুর মারাও যায়৷ অবলা প্রাণীদের হেনস্তার হাত থেকেই রেহাই দেওয়ার জন্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের নয়া ভাবনার প্রশংসা না করে পারছেন না সারমেয়প্রেমীরা৷

Advertisement

[বাড়িতেই আয়োজন করে ফেলুন ‘হোলি পার্টি’, রইল ১০টি টিপস]

এছাড়াও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি বছর দোলে গৌরাঙ্গনগর, হাতিয়ারা, নারায়ণপুর, পাথরঘাটা এবং দক্ষিণবাড়ি এলাকা থেকে ছোটখাটো অশান্তির খবর মেলে৷ চলতি বছর যেকোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারির বন্দোবস্ত করা হবে৷ মোতায়েন করা হবে পুলিশ পিকেট৷ এছাড়াও বারবার পুলিশবাহিনী ওই এলাকাগুলিতে টহল দেবে৷ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের লেকটাউন, সল্টলেক, বাগুইআটি এবং কেষ্টপুর এলাকার বহুতলগুলির দিকে নজর রয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement