সুব্রত বিশ্বাস: খাবারযোগ্য না হলেও ঔষধি গুণে বাজারে চাহিদা মারাত্মক। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সামুদ্রিক প্রাণী সি হর্স বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। অথচ হাওড়া স্টেশন থেকে এরকমই হাজার-হাজার সি হর্স পাচার করার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু আরপিএফের প্রচেষ্টায় সেই ছক ভেস্তে গেল। হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হল কোটি টাকা মূল্যের সামুদ্রিক প্রাণী। যা রেলের ইতিহাসে এই প্রথমবার বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
সোমবার চেন্নাই মেল হাওড়ায় আসার পরই গোপন সূত্রে খবর পায় আরপিএফের সিআইবি বিভাগের কর্মীরা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ভারত থেকে রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল ওই সি হর্সগুলি। দশটি প্যাকেটে শুকনো ৫১ কিলোগ্রাম সি হর্সের সন্ধান পান তাঁরা। জানা গিয়েছে, চেন্নাই থেকে সি হর্সগুলি হাওড়া আসে ট্রেনটির পার্সেল ভ্যানে। এই ভ্যান লিজে থাকায় সিআইবি জানতে পারেনি কোন সংস্থা কী মাল কোথায় পাঠাচ্ছিল।
বড়বাজার থেকে সি হর্সগুলি নিয়ে যেতে একটি গাড়ি আসে হাওড়ায়। সেই গাড়ির চালক ইমদাদ মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে সিআইবির কর্মীরা। আটক শুকনো সি হর্সগুলি ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সি হর্স খাবার হিসাবে গণ্য না হলেও ওষুধ হিসাবে চাহিদা রয়েছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। তবে বিশ্বের বাজারে নিষিদ্ধ হওয়ায় তা ধরা বা বিক্রি নিষিদ্ধ।
দক্ষিণ ভারত থেকে এই সামুদ্রিক প্রাণী কলকাতা হয়ে বিদেশে পাচারের ক্ষেত্রে একটি চক্র সক্রিয় বলে মনে করেছে সিআইবি। পাচারের তথ্য গোপন রাখতে ট্রেনের লিজ ভিপিতে এই সামগ্রী পাঠানো হচ্ছিল। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিজ ভিপিতে এমন বহু নিষিদ্ধ বেআইনি সামগ্রী পাচার হচ্ছে। আরপিএফের সক্রিয়তায় প্রথম সি হর্স আটকের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.