প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থেকে এক সন্ন্যাসীকে গাড়ির ভিতর খুন করেছিল ৫ জন। খুনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির একটি পুকুরে দেহটি ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল তারা। এর পর মৃতের এক শিষ্যার বয়ানের সূত্র ধরে তদন্তে নামে লালবাজার থানা। গ্রেপ্তার করা হয় খুনিদের। ১১ বছর আগের এই ঘটনার সাজা ঘোষণা হল বুধবার। ৫ জনকেই কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত।
জানা গিয়েছে, রিজেন্ট পার্কের সন্ন্যাসী মাধবানন্দ দাস ওরফে সাধুবাবার আশ্রম লাগোয়া চার কাঠা জমি ছিল। যা ১১ লক্ষ টাকায় কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল খুনিরা। প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান মাধবানন্দ দাস। এর পর রেজিস্ট্রির নাম করে রিজেন্ট পার্কের পূর্ব পুটিয়ারি থেকে তাঁকে গাড়িতে তুলে নেয় খুনিরা। রাস্তায় গলা টিপে খুন করা হয় ওই সন্ন্যাসীকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি সন্দেশখালিতে বাসন্তী হাইওয়ের একটি পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে জমির দলিল জাল করে জমি ও আশ্রম দখলের চেষ্টাও করা হয়। সন্দেহবশত রিজেন্ট পার্ক থানায় মিসিং ডায়েরি করেন মাধবানন্দের শিষ্যা। এর মধ্যেই সন্দেশখালি থানা লালবাজারকে দেহ উদ্ধারের খবর দেয়। ময়নাতদন্তের পর খুনের মামলা রুজু হয়।
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে অভিযুক্ত ৫কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার পর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলায় ৩৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ ১১ বছর পর বুধবার খুন, অপহরণ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সজল ঘোষ, শ্যামল দে, লিটন ঘোষ, রাজু সাউ ও বিষ্টু মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আলিপুরের ১৫ এডিজে আদালত। সঙ্গে ধার্য করা হয়েছে জরিমানা। এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার ওসি শুভদীপ চক্রবর্তী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.