ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ওমিক্রনের (Omicron) থাবা। আরও পাঁচজনের শরীরে মিলেছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। ফলে বাংলায় মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে রাজ্যবাসী।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিদেশ ফেরত-সহ মোট ছ’জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট হাতে আসে স্বাস্থ্যদপ্তরের। জানা যায়, ওই ছ’জনের মধ্যে পাঁচজনই ওমিক্রন পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে এক শিশু। পাঁচবছরের ওই শিশুটি কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা। বর্তমানে মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালে ভরতি সে। ওমিক্রন আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন ২৪ বছরের এক যুবক। হাতিবাগানের বাসিন্দা তিনি। কলকাতার হাসপাতালে ভরতি ওই যুবক। এই পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন কৈখালির এক ব্যক্তি ও শ্যামবাজারের এক মহিলা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্তরা সকলেই মৃদু উপসর্গযুক্ত।
বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাতেও ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। অবিলম্বে বিদেশের বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা জারির কথাও বলেছিলেন। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে বিদেশের বিমানে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। রাজ্যের পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেই কারণে রাজ্যের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কনটেনমেন্ট জোন নিয়ে আজই বৈঠক হবে কলকাতা পুরসভায়।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ডেল্টার থেকেও দ্রুত সংক্রমিত হয় ওমিক্রন। তাই প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় এবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। সেই কারণে কলকাতা-সহ গোটার রাজ্যের সব কোভিড হাসপাতাল ও সেফ হোমগুলিকে খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের ফের কোভিড ডিউটিতে ফিরিয়ে আনা হবে। নতুন করে রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে। অক্সিজেন, ওষুধ সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.