Advertisement
Advertisement
জেল

সংশোধনাগারে করোনা পজিটিভ ৪ কয়েদি, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়াম করছেন আধিকারিকরা

বাধ্যতামূলক হলুদ মেশানো দুধ পান।

4 prisoner tested corona positive, exercise becomes mandatory for officials
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 3, 2020 10:10 pm
  • Updated:July 3, 2020 10:10 pm  

ক্ষীরোদ দীপ্তি ভট্টাচার্য: যেন বেহুলার বাসরঘর। হাজারো সতর্কতা সত্ত্বেও লৌহকপাট ভেদ করে কারাগৃহের চার দেয়ালের ভিতরে ঢুকে পড়েছে নোভেল করোনার কাল-ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত চার কয়েদি কোভিড পজিটিভ। এমতাবস্থায় রাজ্যের সব সংশোধনাগারের সব আধিকারিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। রোজ নিয়ম করে সকালে ব্যায়াম বাধ্যতামূলক হল। সেই সঙ্গে হলুদ মেশানো দুধ পান।

তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণের বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার মিলিয়ে দু’মাসে চার আসামির শরীরে কোভিড জীবাণু মিলেছে। যদিও একজন সংক্রমিত হয়েছে হাসপাতালে থাকাকালীন। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশোধনাগারে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে। নতুন কয়েদি এলে তাদের সেখানে রাখা হচ্ছে। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, “স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা এসে সমস্ত নিয়ম মেনে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করেছেন। সঙ্গে থাকছেন কারা দপ্তরের চিকিৎসক ও নার্সরা। দমদম, বারুইপুর, আলিপুর-সহ সাত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত। এবার জেলার জেলগুলিতে কাজ শুরু হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে কাটছাঁট শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান, ধর্মতলায় হচ্ছে না ২১ জুলাইয়ের সভা]

কারা দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “বেশ কিছু কয়েদির জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের ডাক্তারবাবুরা তাঁদের সোয়াব স্যাম্পেল নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ওদের রিপোর্ট নেগেটিভ।” তবে উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ মিলেছে বারুইপুর ও দমদমে। রোগীদের জেলের মধ্যেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করে সুস্থ করা হয়েছে। তাই এ নিয়ে অযথা উদ্বেগের কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ওই কর্তা।

উদ্বেগ হয়তো নেই। তা সত্ত্বেও করোনার আগ্রাসন রুখতে সতর্কতায় খামতি নেই। কারা আধিকারিকদের ব্যায়ামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রোজ সকালে কাজে যোগ দেওয়ার আগে নিয়ম করে শরীরচর্চা বাধ্যতামূলক। আর সকাল বা বিকেলে হলুদ-দুধ পান। তুলসী-চা খেতেও বলা হচ্ছে। “আয়ুর্বেদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোর পাওয়া যাবে।” মন্তব্য মন্ত্রীর। কারা বিভাগের আইজি পীযুষ পাণ্ডেও নিয়মিত ব্যায়াম করেন। হলুদ-দুধ খান।

শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠের অধ্যাপক তথা রাজ্য আয়ুর্বেদ পর্ষদের সহ সভাপতি ডা. প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র জানিয়েছেন, আয়ুশ মন্ত্রকও হলুদ-দুধ বা স্বর্ণাভ দুগ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে কোভিড আটকাতে সাহায্য করবে। এই হলুদ-দুধ ও তুলসি-চা ফুসফুস-সহ শ্বসনতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং সংশ্লিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদাহ নাশ করবে। তাছাড়া হলুদ-তুলসি জীবাণুনাশকও।

[আরও পড়ুন: সন্তানের কাছে যাওয়ার ছুটি না পেয়ে আত্মঘাতী? মহাকরণে পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement