ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: কলকাতার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর (Businessman Murder Case) খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার। আগ্রা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন ধৃতকে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কেউ রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সন্ধেয় বাড়ির দোতলা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ গুপ্তার দেহ। লণ্ডভণ্ড ছিল গোটা ঘর। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই উঠে আসে অঙ্কুশ নামে এক কর্মচারীর নাম। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আগ্রায় গা ঢাকা দিতে পারে অভিযুক্তরা। এরপরই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে।
দুই রাজ্যের পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আগ্রা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রূপকিশোর কুশওয়াহা, সুশীল কুমার ও করণ বর্মাকে। কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অঙ্কুশকেও। জানা গিয়েছে, অঙ্কুশের সঙ্গে ছক কষে তাঁর বন্ধু সেজেই ঘটনার দিন দিলীপ গুপ্তার কাছে গিয়েছিল ধৃত তিন যুবক। ক্রেতা হিসেবে দীর্ঘক্ষণ বৃদ্ধের সঙ্গে কথাও বলে তারা। দিলীপবাবু তাদের জানিয়েছিল, সোনা আসার কথা রয়েছে। এরপর সেই সোনা দোকানে ডেলিভারির পরই পরিকল্পনামাফিক দোকানে হানা দেয় অভিযুক্তরা। লুটপাটের পর খুন করা হয় বৃদ্ধকে।
কিন্তু কেন খুন করা হল দিলীপ গুপ্তাকে? প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অঙ্কুশের বন্ধু হিসেবে ধৃতরা বৃদ্ধের সঙ্গে আলাপ করায়, ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই লুটপাটের পর ব্যবসায়ীকে খুন করে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, খোয়া যাওয়া সোনার কিছুটা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.