স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ কয়েক বছর পর মাদ্রাসায় (Madrasah) শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা স্কুলগুলোতে ৩ হাজার ৮০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। খুব শীঘ্রই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। রাজ্যে মোট ৬১৪টি মাদ্রাসা স্কুল রয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের পর থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তার মধ্যে অনেক শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। কেউ আবার বদলি নিয়ে অন্য স্কুলে চলে গিয়েছেন। দিনে দিনে শূন্যপদ বেড়ে চলছে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অবশেষে মাদ্রাসায় শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কত শূন্যপদ রয়েছে তার তালিকা চেয়ে মাদ্রাসা স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
স্কুলগুলোর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ৩ হাজার ৮০০ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। নবান্নের অনুমতি এলে খুব শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন প্রধান শিক্ষক,কর্মশিক্ষা ও শরীর শিক্ষার শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মাদ্রাসায় ২৮৭ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। কর্মশিক্ষায় ১০৯ জন ও শরীর শিক্ষায় ৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী মুহাম্মদ গোলাম রব্বানি বলেন, মাদ্রাসায় শূন্যপদ পূরণের উদে্যাগ নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক, কর্মশিক্ষা ও শরীর শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগে এই কাজ সম্পন্ন হোক। তারপর বাকি শূন্যপদ পূরণ করা হবে।
এদিকে, আগামী ১০ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে জমা পড়া অভিযোগগুলির শুনানি প্রক্রিয়া। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। গত ৩১ জুলাই উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে অভিযোগ জমা করার শেষ দিন ছিল। জানা গিয়েছিল, ওইদিন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। সূত্রের খবর, মোট অভিযোগের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অভিযোগ একাধিক মাধ্যমে জমা পড়েছে। অর্থাৎ, একই অভিযোগ দুই-তিনবার করে জমা পড়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই অভিযোগগুলি যাচাইয়ের কাজ চলছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাথমিক অনুমান, একাধিকবার জমা পড়া এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়তো ৮-১০ হাজার অভিযোগের শুনানি হতে পারে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুনানির জন্য ৭টি বোর্ড গঠন করা হতে পারে। তার জন্য ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর ৬ জন যুগ্মসচিবকে কমিশনে পাঠিয়েছে। প্রতিদিন ২০০-২১০টি অভিযোগের নিষ্পত্তি বা প্রতিকারের লক্ষ্যে অভিযোগকারী প্রার্থীদের বক্তব্য শোনা হতে পারে। তবে, এই শুনানি প্রক্রিয়া কতদিন চলবে সেই সম্পর্কে এখনও জানানো হয়নি কমিশনের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.