Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jadavpur University

ব়্যাগিংয়ে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু, ৩৮ জনের শাস্তির সিদ্ধান্তেই সিলমোহর

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত।

38 students to gets punishment in Jadavpur University's Student Death case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 25, 2024 8:01 am
  • Updated:May 25, 2024 8:01 am  

স্টাফ রিপোর্টার: সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল প্রায় পাঁচ মাস আগে। অবশেষে ব়্যাগিংয়ের কারণে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির। অর্থাৎ, পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৯ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর শাস্তি পেতে চলেছেন প্রায় ৩৮ জন অভিযুক্ত।

গত বছর ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটিতে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু, ওই মাসের শেষেই তৎকালীন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি কর্মসমিতির বৈঠকে পাস করানোর প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল। গত ২২ এপ্রিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে এসেছেন ভাস্কর গুপ্ত। তিনি শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকেন।

Advertisement

ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। ওই ছাত্রের জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি। এখন অন্তত কিছু করাটা আমাদের কর্তব্য ছিল। শাস্তির সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বেশিই দিয়েছি। দেশের আইনকানুন তো আমাদের হাতে নেই। আমাদের তরফে যা যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সবই গ্রহণ করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ‘রেমাল’, ‘জলভরা মেঘ পাশ কাটিয়ে এলাম’, বললেন মমতা]

অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও তার ভিত্তিতে আন্টি র‌্যাগিং স্কোয়াডের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো, চারজন পড়ুয়াকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করা হবে। তারা হল, সত্যব্রত রায়, মহম্মদ আরিফ, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আরও ৫ জন ছাত্রকে ৪টি সেমেস্টার তথা দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

২৫ জনকে ১ সেমেস্টার তথা ছয়মাসের জন্য সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এই সব সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়েছে এদিনের কর্মসমিতির বৈঠকে। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ছাত্র সংসদ ফেটসুর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার, যিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত, তাঁকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে। পিএইচডি ফেলোশিপ নিভর্র করে উপস্থিতির হারের উপর। সেক্ষেত্রে ৬ মাসের সাসপেন্ড থাকার কারণে অরিত্রর ফেলোশিপ বাতিল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, ফেটসুর দুই প্রাক্তন পদাধিকারী ও বর্তমানে প্রাক্তন পড়ুয়া সৈকত শিট ও গৌরব দাসের আজীবন ক্যাম্পাসে ঢোকা নিষিদ্ধ।

আর এক পড়ুয়া রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে। কর্মসমিতির সিলমোহর পাওয়ার পর তাদের সকলকে শাস্তি দেওয়ায় আর কোনও বাধা রইল না। অন্যদিকে, এদিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সিন্ডিকেট বৈঠক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউটে ১৬ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটির কথা বলা রয়েছে। রাজ্যে চলা তীব্র দাবদাহের কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই ১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে অধীনস্ত কলেজগুলিকে একটি অ্যাডভাইজারি পাঠানো হবে। তাতে ৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হবে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ মিউজিয়ামের প্রবেশ ফি বাবদ যে ৫০ টাকা নেওয়া হত তা মকুব করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অর্থাৎ এবার থেকে বিনামূল্যেই প্রবেশ করা যাবে মিউজিয়ামে। আবার স্নাতক স্তরের ফি কাঠামোতেও কিছু সংশোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শান্তিদেবী। যদিও এই বৈঠক স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে কোনোটি ছাত্র স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ কি না, তা বিবেচনা করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি এই বৈঠক করার জন্য দপ্তরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়নি বলেও জানানো হয়। এবং স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় দপ্তরের অনুমতি ছাড়া বৈঠক করলে তা আইনলঙ্ঘন করবে বলেও জানানো হয়েছিল। তবু এদিন বৈঠক হয়।

[আরও পড়ুন: মহিষাদলে তৃণমূল নেতাকে ‘খুন’ বিজেপির, রিপোর্ট তলব কমিশনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement