ছবি: ফেসবুক
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ, ফের মৃত্যু। মানিকতলার পর এবার উল্টোডাঙা। সোমবার ফুলবাগানের ডিভাইন নার্সিংহোমে মারা গেলেন মুরারিপুকুরের বাসিন্দা মধ্য তিরিশের এক গৃহবধূ। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।এই ঘটনায় পুরসভার ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এলাকায় নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয় না। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। এরআগে একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই নিয়ে খাস কলকাতায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চারজনের।
[পুজোর মুখে সুখবর, বেতন বাড়ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের]
মৃতার নাম কৃষ্ণা হাজরা। স্বামী ও পুত্রকে নিয়ে উল্টোডাঙায় মুরারিপুকুরে সরকারি আবাসনে থাকতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ২৩ অাগস্ট জ্বর হয় কৃষ্ণাদেবীর। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। তড়িঘড়ি তাঁকে ভরতি করা হয় ফুলবাগানের ডিভাইন নার্সিংহোমে।সোমবার মারা যান ওই গৃহবধূ। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। এদিকে কৃষ্ণা হাজরার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুরারিপুকুরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার চারিদিকে জঞ্জালের পাহাড় জমে গিয়েছে। কিন্তু, স্থানীয় কাউন্সিলরের কোনও হেলদোল নেই।বহুবার বলেও লাভ হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, দিন কয়েক আগে কৃষ্ণা হাজরার প্রতিবেশী এক যুবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকেও হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল। সম্প্রতি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ওই যুবক। এদিকে আবার ফুলবাগানের ডিভাইন নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণা হাজরার পরিবারের লোকেরা।
এ শহরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু অবশ্য প্রথম নয়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দু’জন শিশু মারা গিয়েছে বিধাননগরের দত্তাবাদে। একজন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আর এক চতুর্থ শ্রেণির। গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ১১ বছরের আকাশ চৌধুরির। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবার ভোরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। সে মানিকতলার বাসিন্দা।
[ বিশ্বকর্মা পুজো নিয়ে বিবাদ, বেহালায় অটো বন্ধ রেখে বিক্ষোভ চালকদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.