ছবি: প্রতীকী।
বিক্রম রায়, কোচবিহার: বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের পর এবার সিবিআইয়ের (CBI) স্ক্যানারে কোচবিহারের ‘ভুয়ো’ শিক্ষকরা। জেলার ৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষকবে কলকাতা তলব করেছে সিবিআই। ১০ ও ১১ আগস্ট তারিখ নথি-সহ তাঁদের কলকাতার সিবিআই দপ্তরের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে খবর।
এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কানাইলাল দে জানিয়েছেন,”৩১ জনের প্রাথমিক শিক্ষকের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ১০ ও ১১ আগস্ট তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আমরা সেই নোটিস সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের পাঠিয়ে দিয়েছি।” তবে সেই প্রাথমিক শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের পর নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুর্শিদাবাদের ৪ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাঁদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এদিকে বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ চাকরি পাওয়া বাঁকুড়ার শিক্ষকদের সিবিআই তলব করায় কোর্টের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল। সূত্রের খবর, এই সাতজনের মধ্যে একাধিক শিক্ষক হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন। তারমানে এটা নয় যে তাঁরা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। কারণ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর আদালত সমস্ত নথি ও তথ্য যাচাই করেই তবেই তাঁদের চাকরি দিয়েছে। কিন্তু এদিন সিবিআই তাঁদের তলব করায় বড়মাপের প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকায়? অবশ্য দিনভর সিবিআই জেরা শেষে বাঁকুড়ার একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে নিজেদের সাফাই দিয়ে বলেছেন, পর্ষদের ভুলের জন্যই তাঁদের বদনাম হল। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের মামলায় হাই কোর্টের রায়ের জেরে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু পর্ষদের ওয়েবসাইটে সেই তথ্য আপডেট নেই। আর সেই কারণে সিবিআই ডেকেছিল। নথি দেখে আজকের মতো ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.