অর্ণব আইচ: খাস কলকাতাতেই অপরাধীদের ধরতে গিয়ে মার খেতে হয়েছিল পুলিশকর্মীদেরই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যখন ধস্তাধস্তি চলছে, তখন পুলিশের হেফাজত থেকে অপরাধীকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায় তার শাগরেদরা। তপসিয়া কাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মূল অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা কড়া পদক্ষেপ করা হবে। অভিযুক্তদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না।
[ ভোররাতে দমদমে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে চলল গুলি]
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার, শিবরাত্রির দিন। সেদিন রাতে তপসিয়ায় হাটবাগান এলাকায় এক অপরাধীকে ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত বেশ কয়েক দিন ধরে স্থানীয় এক কিশোরের খোঁজ মিলছে না। স্থানীয় হাটবাগান এলাকার বাসিন্দা শেখ শাহানাজ ওরফে সানি তাকে অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে অভিযুক্তকে ধরতে হাটবাগানে গিয়েছিল তপসিয়া থানার পুলিশ। সানি ধরাও পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। দু’পক্ষের মধ্যে চলে ধস্তাধস্তি, মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদেরই। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক আহতও হন।
তপসিয়া কাণ্ডে বেশ কয়েকজন বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় বেনিয়াপুকুর থানায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতেরা হল মহম্মদ রিয়াজউদ্দিন ওরফে রিয়াজ, আবদুল রহিম ওরফে সুফি রাজু ও মহম্মদ শাকিল ওরফে তাপু সানি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রিয়াজের বাড়ি এন্টালির গোবিন্দ খটিক রোডে। আবদুল রহিম থাকে বেনিয়াপুকুরে আর শাকিল কাছারিবাগানের ভোজেরহাটে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
[অন্তঃসত্ত্বারাও অনশনে! সপ্তমদিনে হবু শিক্ষকদের অনশন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.