অর্ণব আইচ: ফের কলকাতায় বাইক আরোহীর তাণ্ডব। এবার স্ট্র্যান্ড রোডে বেপরোয়া বাইক চালকের তাণ্ডবে আহত সিভিক ভলান্টিয়র ও পুলিশ কর্মী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বড়বাজার থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, শনিবার বেপরোয়া গতিতে স্ট্র্যান্ড রোড থেকে যাচ্ছিলেন প্রবেশ যাদব নামে বছর পঁচিশের এক যুবক। বেপরোয়া গতির কারণে ওই বাইক আরোহীকে আটকানোর চেষ্টা করেন রাজা আলি নামে এক ভলান্টিয়র। অভিযোগ, তাঁর কথায় কর্ণপাত না করেই বাইক নিয়ে এগিয়ে যান ওই যুবক। এরপর সুকান্ত মুহুরি ও সুভাষচন্দ্র ঘোষ নামে আরও দুই পুলিশ কর্মী রাস্তায় তাঁকে আটকায়। কিন্তু পুলিশের বাধা তোয়াক্কা না করে তাঁদের ধাক্কা দিয়েই এগিয়ে যান ওই যুবক। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ২ পুলিশ কর্মী। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বাইকের নম্বরের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রবেশকে গ্রেপ্তার করেছে বড়বাজার থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।
একই ঘটনা ঘটেছিল সোমবার রাতে। সেই সময় সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউতে নাকা চেকিং চলছিল। রাত ১১টা নাগাদ একজন ব্যক্তিকে হেলমেট ছাড়াই বাইক চালিয়ে আসতে দেখেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। এরপর তাঁর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও এক কনস্টেবল। কিন্তু, তাঁদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই বাইক চালক। পিছন থেকে তার বাইক টেনে ধরেন কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল তপন ওঁরাও। কিন্তু, তাতে থামানো যায়নি অভিযুক্তকে। প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা তপনবাবুকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এরপরই বাইক ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তপনবাবু। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয়। ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও হদিশ মেলেনি অভিযুক্ত বাইক চালক ও গাড়িটির। তারই মধ্যে এদিন ফের একই ঘটনায় কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.