Advertisement
Advertisement
করোনা

বিধি ভাঙতেই ব্যাপক ধরপাকড়, লকডাউনের প্রথম রাতে পুলিশের জালে ২৫৫ জন

শহরের পাশাপাশি জেলাতেও চলছে নাকা চেকিং।

255 persons arrested violating Restriction Order & prosecuted u/s 188 IPC
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 24, 2020 9:14 am
  • Updated:March 24, 2020 3:32 pm  

অর্ণব আইচ: লকডাউনের নিয়ম না মানলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা(Anuj Sharma)। রাতে ফের টুইট করে অনুজ শর্মা জানালেন যে, নির্দেশ অমান্য করায় সোমবার লকডাউনের পর কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৫ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮ ধারায় মামলা হয়েছে। 

কোনও চায়ের দোকান বা রাস্তার উপর খাবারের দোকান খোলা থাকলে সেগুলি বন্ধ করতে বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও অকারণে কেউ ঘোরাঘুরি করছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে পুলিশ। কেউ ওষুধের দোকানে অথবা মুদির দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিংবা অত্যাবশ্যক কোন জিনিস আনতে গেলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যদি পুলিশ বোঝে যে নেহাতই রাস্তা ফাঁকা থাকার জন্য বাইকে করে অথবা হেঁটে কেউ অহেতুক ঘোরাঘুরি করছে, তাকে আটকাচ্ছে পুলিশ। সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে। এই বিষয়ে যেমন থানা অফিসার ও পুলিশকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন, তেমনি নজর রাখছেন ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট ও পুলিশ কর্মীরাও। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তা ফাঁকা থাকার সুযোগ নিচ্ছে বেপরোয়া বাইক আরোহীরা। হেলমেট ছাড়াই প্রচণ্ড জোরে বাইক চালাচ্ছে তাঁরা। সেদিকেও রয়েছে পুলিশের নজর।

Advertisement

 

লালবাজার জানিয়েছে, লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ১৮৮ ধারায় মামলা করা যায়। এছাড়াও সংক্রামক ব্যাধি ও বিপজ্জনক সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর অভিযোগে ২৬৯ ও ২৭০ ধারায় মামলা দায়ের করা হতে পারে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার প্রত্যেককে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে, কেউ যেন অহেতুক রাস্তায় বের না হন। কেউ যদি কোন সমস্যায় পড়েন, তাঁকে ১০০ ডায়ালে ফোন করে সাহায্য চাইতে বলা হয়েছে। পুলিশ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

naka-checking-2

পুলিশের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, শহরের প্রবীণরা যদি কোন সমস্যায় পড়েন সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কারণ বহু প্রবীণের পরিবার বিদেশে থাকেন। তাঁরা শারীরিক কোনও সমস্যায় পড়লে এগিয়ে আসবে পুলিশই। এদিন ভবানীপুরে এক বৃদ্ধ অসুস্থ বোধ করেন। এলাকায় রটে যায় যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খবর পেয়ে ছুটে যান ভবানীপুর থানার পুলিশ অফিসাররা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই অসুস্থ বোধ করছিলেন। এর সঙ্গে করোনার কোন সম্পর্ক নেই। এদিন ধর্মতলার মোড়ে এক যুবক অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। দেখা যায়, তাঁর জ্বর হয়েছে। পুলিশ ওই যুবককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাজারহাটের কেন্দ্রে যেখানে করোনা সন্দেহে রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেখানে পুলিশের চারজনের একটি বিশেষ টিম নিয়োগ করা হয়েছে । তার মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা পুলিশকর্মী। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েই তাঁরা সাহায্য করছেন চিকিৎসকদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement