Advertisement
Advertisement
SSKM

১২০ ঘণ্টায় দুশোটি গলব্লাডার স্টোনের অস্ত্রোপচার, রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

এমন নয়া উদ্যোগের নেপথ্যে কারণ?

200 gallbladder stone surgeries in 120 hours, SSKM set a record
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 15, 2025 9:17 am
  • Updated:February 15, 2025 9:21 am  

স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র ১২০ ঘণ্টায় প্রায় দুশোটি অস্ত্রোপচার। প্রত্যেকটি নির্ভুল। নিখুঁত। দেশের মধ্যে রেকর্ড গড়ল বাংলার এসএসকেএম হাসপাতাল।

মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দার্জিলিং-সহ সমস্ত জেলা থেকে গলব্লাডার স্টোনের রোগীরা এসেছিলেন এসএসকেএমে। গত পাঁচদিনের এসএসকেএম যেন অস্ত্রোপচারের কুম্ভ! এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনারেল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অভিমন্যু বসু, অধ্যাপক ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার-সহ শল্যচিকিৎসা বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক হাতে হাত মিলিয়েছিলেন এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে। এমনভাবে রস্টার সাজানো হয়েছিল, যেন এই নয়া রেকর্ডের ভাগীদার হতে পারেন সকলে। প্রত্যেকেই একাধিক অস্ত্রোপচার ‘পারফর্ম’ করেছেন বিগত পাঁচদিনে।

Advertisement

বৃহস্পতি-শুক্রবার ছিল সরকারি ছুটি। সরকারি অন্যান্য পেশার কর্মচারীরা যেখানে ছুটি উপভোগ করেছেন, এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন স্কালপেল-নিস্ট্রাক্টরস-ফরশেপ।

এই মুহূর্তে বাংলার সেন্টার অফ এক্সলেন্স এসএসকেএম। দেশের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা যে সত্যিই এগিয়ে ফের একবার প্রমাণ দিল নয়া রেকর্ড। এসএসকেএম হাসপাতালে শল্য চিকিৎসা বিভাগের অধ্যাপক ডা. দীতেন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, গলব্লাডার স্টোনের ক্ষেত্রে করা হয়েছে। চেষ্টা করা হবে আগামীতে অন্যান্য ক্ষেত্রেও করার। এসএসকেএম হাসপাতাল বাংলার ডাক্তারদের কুম্ভ। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এমনটা হওয়া সম্ভব ছিল না।

এমন নয়া উদ্যোগের নেপথ্যে কারণ? এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নানা কারণে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। এদিকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীর চেয়ে বেশি সংখ্যক রোগীর অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব নয়। তাই চাপ কমাতে চিকিৎসকরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা সকলে একসঙ্গে একাধিক অস্ত্রোপচারের করবেন। প্রত্যন্ত গ্রামের সে সব মানুষ, যাঁরা মাইক্রো সার্জারি কী জিনিস জানেন না, নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়া তাঁদের কাছে স্বপ্নেরও অতীত। তেমন মানুষদেরই পিত্তথলির অস্ত্রোপচার হল এসএসকেএম হাসপাতালে। এর মধ্যে ১৪ বছর বয়সি নাবালক যেমন ছিল, তেমনই ছিলেন ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধও। সরকারি হাসপাতালের এমন উদ্যোগে খুশি রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। তাঁদের কথা, হাসপাতালের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। যাঁরা বলেন সরকারি হাসপাতালে নাকি চিকিৎসা হয় না, তাঁদের বলব এসএসকেএম হাসপাতালে এসে দেখে যান, সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা কাকে বলে!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement