অর্ণব আইচ: আরও সবুজ হচ্ছে কলকাতা পুলিশ। তাই আরও দু’শোটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার (Lalbazar)। আর একসঙ্গে এতগুলি গাড়ি প্রতিনিয়ত চার্জ দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে পুলিশের নিজস্ব একাধিক নতুন চার্জিং স্টেশন (Charging Station)।
লালবাজার জানিয়েছে, তেলের দাম বাড়লেও কমানো যাবে না টহলদারি। বরং সারাদিনই টহলের উপর বেশি নজর দিচ্ছে পুলিশ। বিশেষ করে রাতের কলকাতায় যাতে পুলিশকর্মীদের বেশি দেখা যায়, তাই টহলদারির উপর বেশি জোর দিচ্ছেন লালবাজারের কর্তারা। কিন্তু সাপও যাতে মরে আবার লাঠিও না ভাঙে, তার জন্য টহল ও পুলিশকর্তাদের যাতায়াতের জন্য ব্যাটারিচালিত ই-কারের উপরই গুরুত্ব দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই কারণেই গত বছর বেশ কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলি চলছে কলকাতার রাস্তায়। এবার টহলদারিতে জোর দিতে আরও দু’শোটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
ওই গাড়িগুলির মধ্যে বেশিরভাগই তুলে দেওয়া হবে কলকাতার থানাগুলির হাতে। থানার আওতায় থাকা এলাকার পরিধি ও গুরুত্ব বুঝে কোনও থানায় ক’টি করে ই-কার দিতে পারা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বেশ কিছু জায়গায় অনেকটা এলাকাজুড়ে টহল দিতে হয়। তার জন্য অতিরিক্ত খরচ হয় তেলের পিছনেও। ব্যাটারিচালিত গাড়ি বেশি সংখ্যায় নিয়ে আসা হলে টহলের জন্য অতি সহজেই ব্যবহার করা যাবে এগুলি। কিন্তু লাগবে না তেলের খরচ। যদিও ব্যাটারিচালিত গাড়ি নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জিং স্টেশন থাকাও যথেষ্ট জরুরি বলে অভিমত লালবাজারের কর্তাদের।
ইতিমধ্যে কিছু ই-গাড়ি নিয়ে আসা হলেও সেগুলির চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। লালবাজারের কয়েকটি জায়গায় এই গাড়িগুলির ব্যাটারি চার্জ দেওয়া যায়। এ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের আরও কয়েকটি জায়গাও চার্জ দেওয়ার জন্য রয়েছে। কিন্তু সমীক্ষা করে লালবাজারের কর্তারা দেখেছেন যে, একসঙ্গে দু’শোটি গাড়ি নিয়ে আসার পর যদি পর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন না থাকে, তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির উদ্দেশ্য সফল হবে না। সেই কারণে গাড়ি নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের নিজস্ব চার্জিং স্টেশনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা।
লালবাজারের মতো কলকাতা পুলিশের নিজস্ব দপ্তরের চত্বরগুলিতে তৈরি করা হবে বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন। তার জন্য গাড়ি নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন লালবাজারের কর্তারা। গাড়ির তেলের জন্য কলকাতা পুলিশের নিজস্ব ইউনিট ছাড়াও শহরের কিছু পেট্রোলপাম্পের সঙ্গেও গাঁটছড়া বেঁধেছে লালবাজার। ওই পেট্রোল পাম্পের মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে পুলিশের। পাম্পগুলিতে পুলিশের নিজস্ব চার্জিং স্টেশন তৈরির চেষ্টা চলছে। বেশি সংখ্যক চার্জিং স্টেশন থাকলে প্রয়োজনে প্রত্যেকদিনই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলিতে চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে। সেই ক্ষেত্রে টহলদারির ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.