অরিজিৎ সাহা: পুরনো বছরকে বিদায় জানানোর সময় প্রায় এসে গিয়েছে৷ এবার পালা নতুনকে স্বাগত জানানোর৷ তার আগে কত কিছুই না পরিকল্পনা থাকে আমাদের৷ কিন্তু উল্টোডাঙার মুচিপাড়ার প্রায় ২০১৯ জন শিশুর বর্ষশেষের আগের দিনগুলি কাটছে এক্কেবারে অন্যরকম৷ বেড়াতে গিয়ে আনন্দ করা নয় পরিবর্তে বছর শেষের দিনগুলি কাটছে রং-তুলি হাতে৷ খুদেদের হাতের জাদুতেই তৈরি হচ্ছে গ্রিটিংস কার্ড৷ ওই কার্ডটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চায় শিশুরা৷
কারও বয়স পাঁচ৷ আবারও কেউ হয়তো চোদ্দ বছর বয়সি৷ একসঙ্গে দু’হাজার উনিশ জন হাসিখুশি ফুটফুটে কচিকাঁচার টিম৷ ক্রিসমাসের পর থেকে স্কুলে ছুটি পরে গিয়েছে৷ আর পাঁচ জন বাচ্চার মতো বেড়াতে যাওয়ার বায়না করেনি ওরা৷ তার পরিবর্তে উল্টোডাঙার মুচিপাড়ার এই কচিকাঁচারা হাতে তুলে নিয়েছে রং-তুলি৷ পরিকল্পনা একটি মস্ত গ্রিটিংস কার্ড তৈরি করা৷ নতুন বছর যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা৷ অভিভাবকদের দাবি, খেলাধুলো তো দূরস্ত, নাওয়া খাওয়াও নাকি ভুলেছে তারা৷ পরিবর্তে ঘুম ভাঙা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত মেতে রয়েছে রং-তুলি নিয়ে৷ গ্রিটিংস কার্ড তৈরির কাজ করতে করতেই এক শিশু জানায়, ‘‘ কার্ডটি আয়তনে প্রায় ৬”x ৪”৷ রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের প্রতিকৃতি রং-তুলির মাধ্যমে গ্রিটিংস কার্ডে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে৷ এছাড়াও কার্ডে সই করা থাকবে ২০১৯ জনেরই৷’’
দিনরাত এক করে অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজেদের হাতে আঁকা গ্রিটিংস কার্ড তারা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চায়৷ ইতিমধ্যেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলা হয়েছে৷ এবার শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সময়ের অপেক্ষা৷ তারপরই কচিকাঁচাদের ছোট্ট ছোট্ট হাতের তুলির টানে তৈরি গ্রিটিংস কার্ডটি পৌঁছে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে৷ আর এভাবেই যেন সার্থক হবে শিশুদের পরিশ্রম, এমন দাবি কচিকাঁচাদের অভিভাবকদের৷
দেখুন শিশুদের ব্যস্ততার ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.