সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে চাকরি ফিরে পেলেন দুই কাজ হারানো শিক্ষক। গত বছর কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি খুইয়েছিলেন তাঁরা। বন্ধ হয়েছিল বেতন। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি ফিরে পেলেন দুই প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের বেতনও চালু করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় গত বছর ২৬৯ জনের চাকরি গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেতনও। চাকরি হারানো ১৪৬ জন পালটা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখে বুধবার ১৪৩ জন নিয়োগ বাতিল হয়। এদিন আরও ৩ জনের আরজির শুনানি ছিল। তাদের মধ্যে দুই প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অরুণ কারক, প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যের বেতন চালু করার নির্দেশ দিলেন তিনি। নথি দেখে বাকিদের শুনানি হবে।
গত বছর বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁদের একটি ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। পরে ওই নম্বর দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ করা হয়, ২৬৮ জন টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন। তা নিয়ে পালটা মামলা হয়। বুধবার দুই শিক্ষক তরুণ এবং প্রসেনজিৎ হাই কোর্টে যুক্তি জানান, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁরা ৬ নম্বর পেয়েছিলেন। ফলে তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাঁদের যুক্তিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় আদালত।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) একাধিক মামলা চলছে। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৬৮ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাও হয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.