অর্ণব আইচ: জলের মধ্যে মদ মিশিয়ে জেলের ভিতর পাচার করেছিলেন দুই আধিকারিক। সেই মদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বন্দিদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শাস্তিস্বরূপ দুই জেল আধিকারিক বদলি করা হল বারুইপুর জেলে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে অভিযুক্তরা এখনও প্রেসিডেন্সি জেলেই কর্মরত।
জানা গিয়েছে, জেলে মদ্যপান-মারামারির পিছনে রয়েছে শেখ রাজা নামে এক বন্দি। ওই বিচারাধীন বন্দিই জেলে জলের সঙ্গে মদ মিশিয়ে আনার ছক কষে। অভিযোগ, এক হেড ওয়ার্ডার ও অন্য এক অফিসারের মাধ্যমে মদ পাচারের ছক কষা হয়। তিনটি মিনারেল ওয়াটারের বোতল বাইরে থেকে জেলের ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে একটি বোতলে জলের সঙ্গে মদ মেশানো ছিল। এই বিষয়টি বাইরের কারও জানার কথাই ছিল না। কিন্তু গোল বাধায় ওয়ার্ডের বন্দিরাই। রাতে মদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বন্দিদের মধ্যেই প্রথমে বচসা বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন কারা আধিকারিকরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সাত বন্দিকে আলাদা আলাদা সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাদের জেরা করে শেখ রাজার নাম উঠে আসে। টানা জেরার মুখে রাজাই ওই দুই কারা আধিকারিকের নাম জানায়।
জানা গিয়েছে, শেখ রাজার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযু্ক্তদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও জেলের ভিতর মদ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল জেলের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ফের একই ধরনের এই ঘটনা ঘটায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও একই পদ্ধতিতে জেলের ভিতর মদ পাচার করা হয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। বাইরে থেকে জেলের ভিতর নিয়ে আসা প্রত্যেকটি জিনিসকেই ভালভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.