স্টাফ রিপোর্টার: প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত পিজি হাসপাতালের কর্মী রাজেন মল্লিককে জেরা শুরু করল পুলিশ৷ তাঁকে জেরা করে এই ঘটনায় আরও দুই চিকিৎসকের যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন পুলিশের কর্তারা৷ নেফ্রোলজি বিভাগের ওই দুই চিকিৎসকও পুলিশের নজরে রয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর৷ শুক্রবার সকালে রাজেন মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়৷ দফায় দফায় জেরা করা হয় তাঁকে৷ লালবাজারেও ডেকে পাঠানো হতে পারে রাজেনকে বলে জানা গিয়েছে৷
রাজেন মল্লিক তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন ‘আইএনটিটিইউসি’-র পিজি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক৷ তিনি এমার্জেন্সি বিভাগের টিকিট কাউন্টারের কর্মী ছিলেন৷ পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসেই পিজি হাসপাতাল থেকে দালাল সন্দেহে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাদের মধ্যে থেকে দু’জনকে জেরা করেই রাজেন মল্লিকের নাম পায় পুলিশ৷ তারপরই পিজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা রাজেনকে ধরে নিয়ে যায়৷ চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ৷ এদিকে তাঁকে ধরার পর কর্মীদের একাংশ পিজির সুপার ডা. করবী বড়ালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়৷
পিজিতে দালাল ধরার অভিযান শুরু হয়েছিল দিন কয়েক আগেই৷ এমার্জেন্সি, আউটডোরে লাগাতার ধরপাকড় তো চলছিলই৷ এমনকী রোগীদের আত্মীয় পরিজন সেজে ফাঁদ পেতেও দালালদের হাতেনাতে ধরছিল পুলিশ৷ এদিনও পিজিতে সাদা পোশাকের নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারি করতে দেখা গিয়েছে৷ অন্যদিকে যে ঘরটিতে ইউনিয়ন রুম ছিল, সেখানে ভবানীপুর থানার পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে৷ পুজোর আগেই এই ফাঁড়ি চালু হয়ে যাবে বলে ভবানীপুর থানা সূত্রে খবর৷ পিজির দাবি মেনে ফাঁড়িতে পুলিশের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.